লেবুর রস:
নখের বৃদ্ধির জন্য দারুন সহায়ক উপাদান হল লেবুর রস। একটা পাতিলেবু স্লাইস করে নিয়ে সেটা হাত এবং পায়ের আঙুলে পাঁচ মিনিট ধরে ঘষতে হবে। দিনে অন্তত এক বার এটা করলে দারুন উপকার পাওয়া যাবে। এর পর উষ্ণ গরম জল দিয়ে নখ ধুয়ে নিতে হবে। এতে নখের বৃদ্ধি তো ঘটেই, সেই সঙ্গে নখ পরিষ্কার এবং ব্যাকটেরিয়া মুক্তও থাকে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ সারা বছর পাতে থাকবে ইলিশ! এই নিয়ম জানলে বছরভর মিলবে স্বর্গীয় স্বাদ
নারকেল তেল:
নখে গরম নারকেল তেল লাগালেও নখ দারুন ভাবে বাড়তে থাকে। আসলে নারকেল তেল সাধারণত ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ হয়। শুধু তা-ই নয়, এতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্টও উপস্থিত থাকে। তাই নারকেল তেল হাতে নিয়ে তা হাত-পায়ের আঙুলের নখে ম্যাসাজ করতে হবে। প্রতিদিন রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগেই এই রুটিন মেনে চলতে হবে। তা-হলে খুব শীঘ্রই পার্থক্যটা বোঝা যাবে।
কমলালেবুর রস:
কমলালেবু সাধারণত কোলাজেন উৎপাদনে সাহায্য করে। আর কোলাজেন নখের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। আর নখকে সজীব-সতেজও রাখে। আর কমলালেবুর রসে থাকে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ধর্মী উপাদান। যা যে কোনও রকম সংক্রমণ প্রতিরোধে সাগায্য করে। একটি বাটিতে কমলালেবুর রস বার করে নিয়ে তাতে ১০ মিনিট পর্যন্ত নখ ডুবিয়ে রাখতে হবে। এর পর উষ্ণ গরম জল দিয়ে তা ধুয়ে নিয়ে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। দিনে অন্তত এক বার এই রুটিন মেনে চললে ভাল ফল পাওয়া যাবে।
আরও পড়ুনঃ কী কাণ্ড! ভুয়ো শিক্ষকের তালিকায় কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর আত্মীয়! তোলপাড় গোবরডাঙা
অলিভ অয়েল:
যাঁদের নখ নষ্ট হয়ে যায় কিংবা সহজেই ভেঙে যায়, তাঁদের জন্য দুর্দান্ত বিকল্প হল অলিভ অয়েল। আসলে অলিভ অয়েল নখের ভিতরের স্তর অবধি পৌঁছে যেতে পারে। শুষ্কতা দূর করে। এর পাশাপাশি রক্ত সঞ্চালন এবং নখের বাড়-বৃদ্ধিতেও সাহায্য করে। কিছুটা ভার্জিন অলিভ অয়েল নিয়ে তা গরম করে সেই তেল হালকা হাতে নখ এবং কিউটিকলে ম্যাসাজ করতে হবে। প্রতিদিন ঘুমোনোর আগে অলিভ অয়েল পাঁচ মিনিট নখে ম্যাসাজ করে হাতে গ্লাভস পরে নিতে হবে।
জেল এবং অ্যাক্রিলিক নেল এড়িয়ে চলতে হবে:
নেল আর্ট, জেল এবং অ্যাক্রিলিক নেল বর্তমানে ট্রেন্ড হয়ে উঠেছে। কিন্তু এটা নখের জন্য ক্ষতিকর। আসলে জেল এবং অ্যাক্রিলিক নেল নখকে আরও ভঙ্গুর করে দেয়। আর নখের বাড়-বৃদ্ধিও প্রতিরোধ করে। জেল অথবা অ্যাক্রিলিক নেল-এর শখ থাকলে এক বার করা যেতে পারে। কিন্তু প্রতিনিয়ত এই সব উপাদান নখের ক্ষতি করে। (Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)