প্রায় ৫০ বছর ধরে এই মধুমেহ রোগ বয়ে নিয়ে বেড়াচ্ছেন গৃহশিক্ষক নিতাই প্রামাণিক। আর তাই তাঁর ইচ্ছেমতো নিজে যখন খেতে পারেন না, অন্যান্য মধুমেহ রোগীদের সঙ্গে নতুন বছরের শুরুতেই পিকনিক করলেন। ডায়াবেটিসের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে বছরের প্রথমে অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগী-সহ অন্যান্যদের ভূরিভোজ করালেন নিজের বাড়িতে ডেকেই। শুধু এলাকার লোকই নয়, দূরদূরান্ত থেকে অসংখ্য লোক এলেন গৃহশিক্ষকের পিকনিকে।
advertisement
নদিয়ার পলাশিপাড়ার গৃহশিক্ষক নিতাইবাবু অবিবাহিত। প্রত্যেক সময় চিকিৎসকের অনুমতি নিয়ে তিনি চলেন। আর এমন এক কঠিন ব্যাধি নিয়েও যে অর্ধশতবর্ষ অতিক্রম করা যায়, তার জ্বলন্ত প্রমাণ নিতাইবাবু নিজে। আর সেই ইচ্ছেতেই আজ তিনি এমন আয়োজন করেছেন। শুধু সুস্থ মানুষই নন, অসংখ্য ডায়াবেটিস রোগীরাও কব্জি ডুবিয়ে খেলেন নিতাইবাবুর পিকনিকে। অনন্য ডায়াবেটিস রোগীদের নিতাইবাবু এই বার্তা দিলেন যে চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে একদিকে যেমন খাওয়া দাওয়াতে রেশ টানতে হবে, তেমনই প্রাতঃভ্রমণ থেকে শুরু করে অন্যান্য শারীরিক কসরত করলে দীর্ঘদিন পর্যন্ত বেঁচে থাকা যাবে।
রাজ্যের বিভিন্ন ডায়াবেটিস রোগীদের প্রতি এমন বার্তা দিতেই নিতাইবাবুর এমন অভিনব উদ্যোগ। অভিনব এই পিকনিকের মেনুতে ছিল সাদা ভাত, চিকেনের ঝোল, মাছের ঝোল, চাটনি, পাঁপড় এবং মিষ্টি। এই পিকনিকের মাধ্যমে তিনি আরও পাঁচজন মানুষকে বার্তা জানালেন যে সকল ডায়াবেটিস রোগীরা যাতে সকাল বিকেল চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী চলাফেরা করেন এবং খাওয়া-দাওয়ায় রাশ টানেন। তাহলেই তাঁর মতো দীর্ঘ দিন হেসেখেলে থাকা যাবে মধুমেহকে সঙ্গী করেও।