কেন এটা বিপজ্জনক?
ডা. নায়কের মতে, বেস্ট সেলিং কোম্পানির ভেপোরাইজারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হচ্ছে। যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক। এই লিক্যুইডগুলি প্রস্তুত করার জন্য ট্রান্সফ্লুথ্রিন, বুটাইলেটেড হাইড্রোক্সিটোলুইন, বিভিন্ন সুগন্ধি রাসায়নিকের মিশ্রণ (বেনজিল অ্যাসিটাল), সিট্রোনেলল ও ডাইমিথাইল অক্টাডিয়ান এবং গন্ধহীন কেরোসিন (96% w/v)-এর মতো রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে যে, ট্রান্সফ্লুথ্রিন উত্তেজনা, কাঁপুনি, শ্বাসযন্ত্র বিকল হয়ে যাওয়া, হাঁচি, ত্বকের অ্যালার্জি এবং সর্দি ও কাশির মতো সমস্যার জন্য দায়ী হতে পারে। শুধু তা-ই নয়, ক্যাটাগরি-২ কার্সিনোজেনের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এই রাসায়নিকগুলিকে। যা ক্রমবর্ধমান ক্যানসারের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
advertisement
এই ভেপোরাইজারগুলি গর্ভে থাকা শিশুর মস্তিষ্কের এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার ব্যাপক ক্ষতি করে দিতে পারে। এমনকী এটি হাইপোথাইরয়েডিজমেরও কারণ হয়ে যেতে পারে। এছাড়াও এই ভেপোরাইজারগুলি ঘরের পোষ্যের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে। আসলে এতে ব্যবহৃত সুগন্ধি রাসায়নিক ফুসফুসের রোগ এবং ত্বকে অ্যালার্জির কারণ হতে পারে। সিডিসির মতে, এটি মাথাব্যথা, অ্যানোরেক্সিয়ার জন্য দায়ী হতে পারে এবং একাগ্রতাও হ্রাস করতে পারে।
এখানেই শেষ নয়, ঘরের জানালা-দরজা বন্ধ করার পর এগুলি ব্যবহার করলে সেটা আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, এই রাসায়নিকগুলির এখনও কোনও প্রতিষেধক নেই। তাই গর্ভবতী মহিলা, সদ্যোজাত শিশু, বাচ্চা, বয়স্ক এবং বাড়ির পোষ্যেদের এর থেকে দূরে রাখা খুব গুরুত্বপূর্ণ। ডা. নায়ক বলেন যে, অনেক গবেষণায় এটাও দেখা গিয়েছে যে, এই ধরনের ভেপোরাইজার কিন্তু মশাকে আরও বেশি আকর্ষণ করে।
তাই কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে। মশা নিরোধক ভেপোরাইজার ব্যবহার করতে হলে কয়েক মিনিটের জন্য হালকা করে জানালা-দরজা খুলে রাখতে হবে। এছাড়া এর পরিবর্তে প্রাকৃতিক বিকল্পও ব্যবহার করা যেতে পারে। সেক্ষেত্রে নিমপাতা পোড়ানো যায় অথবা কর্পূরের ধোঁয়া দেওয়া যেতে পারে। এর পাশাপাশি মশার হাত থেকে বাঁচতে মশারি ব্যবহার করা আবশ্যিক।