এইমস-এর মেডিসিন বিভাগের অ্যাডিশনাল প্রোফেসর পীযূষ রঞ্জন জানিয়েছেন মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ নিয়ে খুব বেশি চিন্তার করার কিছু নেই৷ কারণ কোভিড ১৯ ভাইরাসের তুলনায় এর তীব্রতা কম বলেই জানিয়েছেন তিনি ৷ তবে তাঁরও মত যে বাচ্চাদের জন্য এই ভাইরাস ভয়ঙ্কর ৷ স্মল পক্স ও মাঙ্কিপক্সের উপসর্গের মধ্যেও মিল আছে৷ বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অস্বস্তি, জ্বর, গ্ল্যান্ড ফুলে যাওয়া, কাঁপুনি দিয়ে জ্বরের মতো উপসর্গ দেখা দেয়৷ এই উপসর্গগুলো বাচ্চাদের শরীরে দেখা দিচ্ছে কিনা সে বিষয়ে সতর্ক থাকুন ৷
advertisement
# মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হলে দ্বিতীয় বা তৃতীয় দিন থেকে গায়ে ছোট ছোট গোটা দেখা যেতে পারে ৷ সাধারণত প্রথমে মুখে দেখা যায় ফুসকুড়ি বা গোটার মতো অংশ৷ তার পর হাত, হাত ও পায়ের পাতায় এগুলি দেখা দেয়৷ অনেক সময় এই ফুসকুড়িতে জলীয় অংশও থাকে৷
আরও পড়ুন : ঋতুস্রাবের সময় স্বমেহন কেন করা ভাল, জানুন কারণ
# বড়দের তুলনায় বাচ্চাদের মাঙ্কিপক্সের ক্ষেত্রে জ্বর অনেক বেশি স্বাভাবিক৷ বাচ্চার জ্বর এলে সঙ্গে সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন৷
বাচ্চাদের নিরাপদে রাখতে কী করবেন
বাঁদর, মেঠো ইঁদুর বা অন্য কোনও অসুস্থ পশুর কাছে বাচ্চাদের যেতে দেবেন না৷ যেখনে মৃত পশু আছে, সেখানেও বাচ্চাদের যেতে দেবেন না৷
আরও পড়ুন : বর্ষায় চুলের খুসকির সমস্যায় জেরবার? রইল সহজ ঘরোয়া টোটকা
মাংস খুব ভাল করে রান্নার পর তবেই খেতে দেবেন বাচ্চাকে৷ আধসিদ্ধ মাংস দেবেন না কোনওমতেই
সংক্রমিত কোনও ব্যক্তির কাছে কোনওমতেই শিশুকে যেতে দেবেন না৷
বাচ্চাদের বার বার হাতমুখ ধোওয়ার অভ্যাস করাতে হবে৷ নোংরা হাত যেন চোখেমুখে না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে
সাবান ও জলে হাত পরিষ্কার রাখা অভ্যাস করান ৷ ব্যবহার করা যেতে পারে অ্যালকোহল বেসড স্যানিটাইজার-ও৷