তিনি লখনউ ছেড়ে চলে গেলেও লখনউ তাঁকে ছেড়ে যায়নি ৷ জড়িয়ে ছিল জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত ৷ ব্রিটিশ রাজধানী কলকাতায় নির্বাসিত জীবনে ওটুকুই ছিল ওয়াজিদ আলি শাহ-র জিয়নকাঠি ৷ তাঁর হাত ধরে কলকাতায় এসেছিল অসংখ্য জিনিস ৷ তাদের মধ্যে অন্যতম বিরিয়ানি৷ তাঁর জন্য বিরিয়ানি তৈরি করতেন খাস বাবুর্চি ৷ পড়ন্ত বেলায় নির্বাসিত, ক্ষমতাচ্যুত নবাবের ‘অওয়ধি’ বিরিয়ানিতে মাংস দেওয়ার সঙ্গতি ছিল না ৷ পরিবর্তে ব্যবহার করা হত আলু ৷ তার পর থেকে আলুই কলকাতার বিরিয়ানির ট্রেডমার্ক৷ যদিও এখনও খাঁটি অওয়ধি এবং অন্যান্য ঘরানা বিরিয়ানিতে আলু নৈব নৈব চ ৷ কিন্তু কলকাতার বিরিয়ানি আলু ছাড়া ভাবাই যায় না ৷
advertisement
কলকাতায় বিরিয়নির প্রাণপুরুষ ওয়াজিদ আলি শাহ-র ১৯৯ তম জন্মবার্ষিকীতে বিরিয়ানি নিয়ে করা মীরের ‘ফুডকা’-র ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই নেটিজেন তথা খাদ্যরসিকদের পছন্দের শীর্ষে ৷ সেখানে কলকাতার তিনটি জায়গার বিরিয়ানি চেখে মতামত দিয়েছেন ‘ফুডকা’ ইন্দ্রজিৎ লাহিড়ী এবং ‘ভাইপো’ মীর ৷ দর্শকদের কাছে আর্জি রেখেছেন , কলকাতার অন্যান্য বিরিয়ানি বিপণি নিয়ে মতামত দিতে৷
কিন্তু মীরের ব্যক্তিগত পছন্দ কোন দিকে ? কলকাতার কোন বিরিয়ানি তিনি সবথেকে বেশি পছন্দ করেন? সে হদিশ তিনি দিয়েছেন ফেসবুকে ৷ জানিয়েছেন, বাড়ির খাবারের দিকে মা-ই তাঁর কাছে শ্রেষ্ঠ রন্ধনশিল্পী ৷ মায়ের হাতের বিরিয়ানিই তাঁর সবথেকে বেশি প্রিয় ৷ পোস্টের সঙ্গে বাড়ির রান্নাঘরে মা বিরিয়ানি রাঁধছেন, সে ছবিও শেয়ার করেছেন মীর ৷
তাঁর এই লোভনীয় পোস্ট ঘিরে উচ্ছ্বসিত নেটিজেনরা ৷ কেউ মজা করে জিজ্ঞাসা করেছেন কবে যাবেন খেতে ৷ মীরে সঙ্গে সহমত নেটিজেনরা ৷ মায়েরা-ই পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ রন্ধনশিল্পী ৷ তাঁদের রান্না তুলনাহীন ৷