ভাইরাল এই ভিডিওটি নিজের Twitter হ্যান্ডেলে আপলোড করেছেন থমাস ফগদো (Thomas Fogdö)। তাঁর জীবন হুইলচেয়ারে বন্দী। ফলে পার্কিং লটে যদি দু'টি গাড়ি খুব অল্প জায়গা রাখে নিজেদের মধ্যে, সেখান দিয়ে হুইলচেয়ারে করে গিয়ে গাড়িতে ওঠা তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়। ভিডিওটিতেও আমরা দেখছি সেই সমস্যা। পার্কিং লটে ফগদোর কালো Tesla গাড়িটার ঠিক পাশেই রয়েছে এক লাল গাড়ি। কিন্তু দুই গাড়ির মধ্যে ব্যবধান বেশ কম, ফলে হুইলচেয়ার নিয়ে সে দিকে এগোতে পারছেন না তিনি। চেষ্টা করেছেন ঠিকই, তবে হুইলচেয়ার ঠেকে গিয়েছে দুই গাড়ির ফাঁকে!
advertisement
ভিডিও দেখে বোঝা গিয়েছে যে ফগদোকে এ হেন পরিস্থির মুখে প্রায়ই পড়তে হয়। তাই তিনি ঘাবড়ে না গিয়ে নিজের হুইলচেয়ারটাকে পিছিয়ে এনেছেন একটুখানি! তার পর তাঁকে নিজের স্মার্টফোনের স্ক্রিনে আঙুল বোলাতে দেখা গিয়েছে। তার পরেই সবাইকে অবাক করে স্টার্ট নিয়েছে চালক ছাড়া গাড়ি, আলো জ্বালিয়ে নির্দেশ মতো সে পিছিয়ে এসেছে কিছুটা। যখন গাড়িতে ওঠার মতো জায়গা পাওয়া গিয়েছে, তখন ফগদোকে হাসতে দেখা গিয়েছে। তিনি হুইলচেয়ার নিয়ে এগিয়ে গিয়েছেন গাড়ির দিকে। আর সোশ্যাল মিডিয়ায় এমন প্রযুক্তি-সমৃদ্ধ স্মার্ট কার তৈরি করার জন্য তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন Tesla-কে।
প্রসঙ্গত, Tesla-র এই ফিচারটির নাম Smart Summon। পুরোপুরি ভাবে স্বয়ংক্রিয় সংস্থার কিছু গাড়ির মডেলে এই ফিচার পাওয়া যায়। যেখানে অ্যাপ দ্বারা ইচ্ছা মতো নিয়ন্ত্রণ করা যায় গাড়ি চালানোর বিষয়টিকে।