ওই রিপোর্টে অনুযায়ী, একটি হোটেলে নিজের বান্ধবীর সঙ্গে উঠেছিলেন ওই ব্যক্তি৷ দু' জনে একসঙ্গে মদ্যপান করছিলেন৷ সেই সময়ই ৫০ মিলিগ্রামের দু'টি সিলডেনাফিল ট্যাবলেট খান ওই ব্যক্তি৷ বাজারে এই ট্যাবলেট ভায়াগ্রা নামেই বিক্রি হয়৷
আরও পড়ুন: হাই-রিস্ক প্রেগন্যান্সি কী জানেন? গর্ভধারণ যেন ঝুঁকি না আনে! চিকিৎসকের থেকে জানুন
advertisement
পরের দিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর ওই ব্যক্তি অস্বস্তি বোধ করতে থাকেন৷ তাঁর বমিও হতে শুরু করে৷ বান্ধবী তাঁকে চিকিৎসা করাতে বললেও তাকে গুরুত্ব দেননি তিনি৷ বান্ধবীকে ওই ব্যক্তি জানান, এ রকম তাঁর আগেও হয়েছে৷
কিন্তু এর পরে ওই ব্যক্তির শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়৷ তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়৷ কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন৷ ওই মেডিক্যাল জার্নালের গবেষণা পত্র অনুযায়ী, সেরিব্রোভাসক্যুলার হেমারেজের ফলে ওই ব্যক্তির মৃত্যু হয়৷ যার অর্থ, মস্তিষ্কে অক্সিজেনের জোগান কমে যাওয়া৷
আরও পড়ুন: বাঁ দিকে ফিরে শোওয়ার অভ্যেস? ভুল করছেন না ঠিক? কী বলেন ডাক্তাররা? ভাল থাকতে সঠিক অভ্যাস জানুন...
ওই ব্যক্তির ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়, আগে থেকেই ওই ব্যক্তির উচ্চ রক্তচাপ ছিল৷ তার সঙ্গে মদ এবং ওষুধের মিশ্রণই ওই ব্যক্তির মৃত্যুর মূল কারণ হয়ে দাঁড়ায়৷ মৃতের রক্তে মদের মাত্রা ছিল ০.১৮৬৷ যা অস্ট্রেলিয়ায় মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালানোর নির্দিষ্ট মাত্রার প্রায় চার গুন বেশি৷
অস্ট্রেলিয়ার ওই সংবাদমাধ্যমে দাবি করা হয়েছে, ভারতে ভায়াগ্রার ব্যবহার আকছার হয়৷ শারীরিক মিলনের ক্ষেত্রে সমস্যার জন্য ওষুধ হিসেবে ভায়াগ্রার ব্যবহার না করে অনেকেই দীর্ঘক্ষণ ধরে মিলনের লক্ষ্যে এই ওষুধ চিকিৎসকের কোনওরকম পরামর্শ ছাড়াই পুরুষরা ইচ্ছেখুশি মতো খেয়ে নিচ্ছেন৷
এ ক্ষেত্রেও মৃত ব্যক্তির কাছে কোনও প্রেস্ক্রিপশন ছিল না৷ ভায়াগ্রার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে মাথাধরা, দীর্ঘস্থায়ী পেটের সমস্যা, রক্তচাপের সমস্যা, নাক বন্ধের মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে৷