কীভাবে নিজের ফিটনেস রুটিনে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং অন্তর্ভুক্ত করেছেন, সেই বিষয়ে কার্লি টেলস-এর কাছে নিজের বক্তব্য রেখেছেন মালাইকা। জানান, উপবাস তিনি রাখেন, তবে একটা ট্যুইস্ট রয়েছে। অভিনেত্রীর কথায়, আমি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং করি… কিন্তু আমি সেটা করি এক দিন অন্তর। যদিও এই প্যাটার্নের কারণ তিনি জানাননি। তবে ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের ভাল এবং খারাপ উভয় দিক রয়েছে।
advertisement
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কী?
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং হল খাওয়াদাওয়ার প্যাটার্ন। যা খাওয়াদাওয়া এবং উপোসের সময়কালের মধ্যে পরিবর্তিত হয়। প্রথম ক্ষেত্রে ১৬ ঘণ্টার উপোস এবং ৮ ঘণ্টার খাওয়াদাওয়া করতে হয়। দ্বিতীয় ক্ষেত্রে স্বাভাবিক ভাবে পাঁচ দিন খাওয়াদাওয়া করতে হয়, আর ক্যালোরি কমানো হয় ২ দিনের জন্য। আবার তৃতীয় ক্ষেত্রে সপ্তাহে ১-২ বার সারা দিন উপোস করতে হয়। আর চতুর্থ ক্ষেত্রে একদিন অন্তর অন্তর উপোস করে থাকতে হয়। মালাইকার মতো একদিন অন্তর ইন্টামিটেন্ট ফাস্টিংয়ের উপযোগিতা আছে বলে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের কাছে জানিয়েছেন পারস হেলথ গুরুগ্রামের ইন্টারনাল মেডিসিনের বিভাগীয় প্রধান ডা. আরআর দত্ত। জেনে নেওয়া যাক, এর উপকারিতা এবং অপকারিতা।
উপকারিতা:
ওজন হ্রাস এবং মেদ ঝরে যাওয়া:
এই ধরনের ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ে ক্যালোরির পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে থাকে। যা উপবাসের কালে মেটাবলিজম বাড়ায়। ওজন হ্রাস পায়।
ইনসুলিন সেনসিটিভিটির উন্নতি:
এটি ইনসুলিনের মাত্রা কমায় এবং ইনসুলিন সেলসিটিভিটি বাড়ায়। যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধ করার ক্ষেত্রে অত্যন্ত উপযোগী।
হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতি:
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং কোলেস্টেরলের মাত্রা, ব্লাড প্রেশার কমায়। এমনকী প্রদাহও হ্রাস করে। যা হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যর জন্য উপকারী।
আরও পড়ুন-একটুর জন্য প্রাণে বাঁচলেন নোরা ফতেহি, ভয়ঙ্কর বিধ্বংসী আগুনে পুড়ে ছাই সব, ঠিক আছেন তো নায়িকা?
প্রদাহ হ্রাস:
একাধিক ক্রনিক রোগের জন্য দায়ী প্রদাহ। এই ধরনের ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং প্রদাহ হ্রাস করে।
অপকারিতা:
পুষ্টির ঘাটতি:
দীর্ঘদিন উপোস অথবা অনিয়মিত খাওয়াদাওয়ার ধরনের জেরে পুষ্টির ঘাটতি হতে পারে। তাই ভিটামিন এবং মিনারেল সঠিক ভাবে খাওয়ার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে করতে হবে।
খাওয়াদাওয়ার সময় অতিরিক্ত খেয়ে ফেলা:
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের ক্ষেত্রে খাওয়ার সময় অনেকেই অতিরিক্ত খেয়ে ফেলেন। ক্যালোরির পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় হিতে বিপরীত হয়ে যায়।
হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা (মহিলাদের জন্য):
কিছু মহিলার ক্ষেত্রে মেনস্ট্রুয়াল সাইকেলের ক্ষেত্রে বাধা হয়ে দাঁড়ায় উপবাস। কর্টিসল লেভেল বাড়ায়, যার জেরে ফার্টিলিটি কমায়।
মাথা ব্যথা, অবসন্ন ভাব, অস্বস্তি:
ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিংয়ের প্রথম দিকে কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা যায়। এর মধ্যে অন্যতম হল – মাথা ব্যথা, অবসন্ন ভাব এবং অস্বস্তি।