লাহোরি জিরার কোম্পানি আর্চিয়ান ফুডস প্রাইভেট লিমিটেডের সহ-প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও সৌরভ মুঞ্জাল বলেন, সেই সময়ে তিনি ভারতের বাজারে যে সব দেশি পানীয় পাওয়া যেত তার তুলনা বিদেশের সুপারমার্কেটগুলিতে পাওয়া যেত এমন বৈচিত্র্যের সঙ্গে না করে থাকতে পারেননি। বিকল্প সেরকমভাবে না থাকার কারণে দেশি পানীয় হিসেবে লাহোরি জিরা বিক্রির প্রথম দিন থেকেই ভারতীয় স্বাদ এবং ঐতিহ্যের প্রতিনিধিত্ব করতে শুরু করে।
advertisement
সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে আসার পর মুঞ্জাল যখন তাঁর বাবার কাছে এই পরিকল্পনার কথা তুলে ধরেন, তখন বাবার প্রতিক্রিয়া ছিল বেশ সাফ। “কোক এবং পেপসির সঙ্গে প্রতিযোগিতা করতে চাইছ? তুমি কি পাগল?” ফলে এটি একটি কঠিন চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু এটি তাঁদের দলকে কিছু গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষাও দিয়েছিল। প্রথমটি ছিল ভারত কারও জন্যই একচেটিয়া বাজার নয়। সৌরভ জানান এখানে ভাষা, সংস্কৃতি এবং স্বাদ প্রোফাইল প্রতি ১০০ কিলোমিটারে পরিবর্তিত হয়। এমনকি একটি সাধারণ আনাজের খাবারের স্বাদও প্রতিটি রাজ্যে আলাদা। তাই ব্র্যান্ডটিকে স্থানীয় পছন্দের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে হয়েছিল। দ্বিতীয় শিক্ষা ছিল স্থানীয় স্বাদকে প্রাধান্য দেওয়া। মুঞ্জাল জানান, লাহোরি জিরার উত্থান ব্লিঙ্কিট, সুইগি ইন্সটামার্ট বা অন্যান্য দ্রুত পরিষেবা প্রদানকারীদের উপর নির্ভর করেনি। “পানীয়ের ক্ষেত্রে, ৭০% বিক্রয়, এমনকি কোক এবং পেপসির ক্ষেত্রেও, স্থানীয় দোকান থেকেই আসে,” তিনি বলেন। লাহোরি জিরার ক্ষেত্রেও পাড়ার দোকানই বাণিজ্য রাজস্বের ৯৮% তুলে দেয়।
বর্তমানে লাহোরি জিরা ১৫টি ভারতীয় রাজ্যে বিক্রি হয়। চণ্ডীগড়ে এর সদর দফতর রয়েছে। আপাতত তা পরিবর্তনের কোনও পরিকল্পনা নেই। ব্র্যান্ডটির লক্ষ্য শীঘ্রই সমগ্র ভারত জুড়ে ছেয়ে যাওয়া এবং পাঁচ বছরের মধ্যে আন্তর্জাতিক জনপ্রিয়তা অর্জন করা। এর চূড়ান্ত লক্ষ্য ভারতে প্রথম পছন্দের পানীয় ব্র্যান্ড হওয়া।
