বয়সের কাঁটাকে থামানোর কোনও উপায় নেই। তবে হাতে আয়ুর্বেদের চাবিকাঠি থাকলে বার্ধক্যজনিত লক্ষণগুলিকে থামিয়ে দেওয়া যায় সহজেই। প্রাচীন ভারতে আয়ুর্বেদই ছিল শেষ কথা। কিন্তু কালের নিয়মে তা একপ্রকার বিলুপ্ত হয়। বর্তমানে ত্বকের যত্নে ফের জনপ্রিয়তার শিখরে উঠেছে আয়ুর্বেদ। এটা ত্রিদোষকে নিয়ন্ত্রণ করে বার্ধক্যের লক্ষণগুলোকে কমিয়ে দেয় এবং ত্বককে তরুণ রাখতে সাহায্য করে।
advertisement
আরও পড়ুনঃ চুলে রঙ তো করালেন, এই নিয়মগুলো মানছেন তো? না হলেই বারোটা বাজবে!
ফেস মাসাজ: আয়ুর্বেদে একে বলে ‘অভ্যঙ্গ’। এতে তেল দিয়ে মুখে মাসাজ করা হয়। আয়ুর্বেদে পিত্ত দোষকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে মুখে ‘অভ্যঙ্গ’ বা তেল দিয়ে মাসাজ করা হত। মাসাজ অয়েলের সঙ্গে অল্প এসেনসিয়াল অয়েলও মিশিয়ে নেওয়া যায়। এটা ত্বকের জন্য দুর্দান্ত।
দুধ: তেল ছাড়া ক্লিনজার হিসেবে দুধের জুড়ি নেই। এটা ত্বককে শুষ্ক হওয়া থেকে বাঁচায়। অনেক সময় ক্রিম, মেকআপ ব্যবহারের ফলে ত্বকের ছিদ্রগুলো বুজে যায়। সিবাম বা তেলের কারণেও এমনটা হতে পারে। দুধকে ক্লিনজার হিসেবে ব্যবহার করলে সহজেই ত্বকের ছিদ্রমুখ পরিষ্কার হয়ে যায়।
আরও পড়ুনঃ নতুন মা-বাবা হলে বোঝা কঠিন, সন্তানের মধ্যে এই ১০ লক্ষণ দেখলে অবিলম্বে ডাক্তার দেখান!
যোগাসন: যোগাসনের জুড়ি নেই। আসলে ব্যায়াম করলে রক্ত সঞ্চালন বাড়ে। এটা ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর। তবে প্রতিদিন যোগাভ্যাস শুধু ত্বকের জন্য ভালো তাই নয়, এটা তরুণ, তরতাজা এবং নমনীয় থাকতেও সাহায্য করে।
মধু: মধু প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করে। ঘাড়ে এবং মুখে মধুর গাঢ় প্রলেপ লাগিয়ে ১৫ মিনিট শুকোনোর জন্য অপেক্ষা করে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলতে হবে। এটা বাজার থেকে কেনা যে ময়েশ্চারাইজার ক্রিমের থেকে শতগুণ ভালো কাজ করবে।
প্রচুর জলপান: জলই জীবন। ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও জলপান জরুরি। এটা শরীর থেকে টক্সিন এবং বিষাক্ত পদার্থ বের করে দেয়। এটা ত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। তাছাড়া শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতেও প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া উচিত।
নিমের মাস্ক: নিমের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট রয়েছে। ত্বকে কোষের উৎপাদনেও এটা সাহায্য করে। মুখে এবং ঘাড়ে নিমের তেল দিয়ে মাসাজের পরামর্শ দেওয়া হয় আয়ুর্বেদে। তারপর নিম পাতা ভেজানো জলে ধুয়ে ফেলতে হবে।