মনে এই প্রশ্ন জাগতেই পারে যে বিটরুট কীভাবে রূপচর্চায় কাজে লাগবে? ব্যাপারটা হচ্ছে আমরা ত্বকের যত্নে ফেসিয়াল করি, প্যাক লাগাই কিন্তু ঠোঁটের কথা ভুলে যাই। বিটরুট প্রাকৃতিক উপায়ে ঠোঁট নরম ও গোলাপি রাখে। নরম, গোলাপি ও আর্দ্র ঠোঁট পেতে ব্যবহার করতে হবে বিটরুট।
বিটরুটের গোলাপি রঙ আমাদের ঠোঁটে গোলাপি আভা যোগ করে।
advertisement
আরও পড়ুন - মহিলাদের হস্তমৈথুন নিয়ে এই ৪টে বিষয়ে কৌতূহল সবথেকে বেশি, রইল প্রশ্নের উত্তর
এছাড়া বিটরুট হল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ। ভিটামিন সি হল একটি দুর্দান্ত উপাদান যা ত্বক উজ্জ্বল করে এবং একটি সমান টোন দেয়। ঠোঁটে অনেক সময় কালো ছোপ পড়ে। বিটের রস এই দাগ দূর করতে পারে। নিয়মিত বিটের রস লাগালে ঠোঁট উজ্জ্বল হয়।
ঠোঁটে পুষ্টি যোগাতেও সাহায্য করে বিটরুট। শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁটের সমস্যা দূর করতেও সাহায্য করে বিটের রস। অনেকেই জানেন না যে ঠোঁটের জন্য উপযোগী প্রাকৃতিক ময়েশ্চারাইজার হিসাবে বিটরুটের জুড়ি নেই।
বিটরুটে আছে আর্দ্রতার উপাদান। ফলে নিয়মিত এটি ব্যবহার করলে ঠোঁট ধীরে ধীরে নরম হয়ে যাবে। এর মধ্যে অ্যান্টিএজিং উপাদানও আছে। তাই বিটরুট ঠোঁটে লাগালে ঠোঁটে উপস্থিত ফাইন লাইন কম হয় এবং ঠোঁটে তারুণ্য আসে।
আরও পড়ুন - কাঁধে অন্তর্বাসের স্ট্র্যাপের দাগের জন্য হল্টার নেক, অফ শোল্ডার পরতে পারছেন না? রইল দাগ তোলার টোটকা
বিটরুট ঠোঁটকে রসালো এবং পুরন্ত করে তোলে। এই রস ঠোঁটে সঙ্গে সঙ্গে উজ্জ্বলতা যোগ করে এবং তার ফলে ঠোঁট আরও বেশি হাইড্রেটেড, পুষ্টিকর এবং রসালো দেখায়। ঠোঁটে নিয়মিত বিটরুট লাগালে ঠোঁট সবসময় পূর্ণ দেখাবে।
এটাও জেনে রাখা ভালো যে বিটরুটের চেয়ে ভালো প্রাকৃতিক লিপবাম আর নেই। বিটরুট ঠোঁটের জন্য ব্যবহার করতে হলে এক টুকরো বিট কেটে ফ্রিজে রাখতে হবে। ১৫-২০ মিনিট ফ্রিজে রেখে সেই টুকরো বের করে ঠোঁটে ঘষলে ঠোঁটে লালচে আভা আসবে। বিটের সঙ্গে তাজা ক্রিম, গোলাপ জল মিশিয়ে লিপ প্যাক তৈরি করেও ব্যবহার করা যায়।