ব্রকলি: সবুজ শাক-সবজি মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে খুবই প্রয়োজনীয়। মেডিকেল নিউজ টুডে অনুসারে, ব্রকলিও এমনই একটি সবজি। এতে ভিটামিন কে সহ শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি প্রভাব রয়েছে এমন বেশ কয়েকটি যৌগ রয়েছে। অ্যান্টিঅক্সিডেন্টসহ অন্যান্য পুষ্টি উপাদান থাকার কারণে এটি মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে খুবই উপকারী।
বাদাম: বাদামে থাকে ভিটামিন ই, স্বাস্থ্যকর চর্বি সহ মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখে এমন পুষ্টি উপাদান রয়েছে। বাদামে স্বাস্থ্যকর চর্বি, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন ই এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। যা মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে খুবই সহায়ক।
advertisement
আরও পড়ুন: বিষের চেয়েও বেশি ক্ষতিকর! ভুলেও এইভাবে দুধ পান করাবেন না আপনার সন্তানকে
কমলা: কমলা ভিটামিন সি এর ভাল উৎস। কমলালেবু এবং ভিটামিন সি সমৃদ্ধ অন্যান্য খাবার মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী। কমলা আপনার মস্তিষ্ককে ফ্রি র্যাডিকেল দ্বারা সৃষ্ট ক্ষতি থেকে রক্ষা করতে সহায়ক হতে পারে।
ব্লুবেরি: ব্লুবেরি মস্তিষ্কের জন্য খুবই উপকারী ফল। এটি মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য তালিকার শীর্ষে রাখা যেতে পারে। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, ম্যাঙ্গানিজ, ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস ইত্যাদি পাওয়া যায়। এটি মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ বৃদ্ধি এবং মনোনিবেশ করতে ব্যবহৃত হয়। এটি গবেষণায় পাওয়া গেছে যে এটি আলঝাইমার, ডিমেনশিয়া, বার্ধক্যজনিত প্রভাব কমাতেও সহায়ক।
ফাইবার: শরীরে গ্লুকোজ সঠিকভাবে শোষণের জন্য খাবারে ফাইবার থাকা খুবই জরুরি। গ্লুকোজের সঠিক সরবরাহ হলে মস্তিষ্ক আরও ভালভাবে কাজ করতে সক্ষম হয়। এছাড়াও ফাইবার পেটকে দীর্ঘক্ষণ ভরা রাখে। এক্ষেত্রে আপনার খাদ্যতালিকায় সবুজ শাক-সবজি, ফল, বাদাম, শস্য ইত্যাদি অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ম্যাগনেসিয়াম: প্রয়োজনীয় ম্যাগনেসিয়ামের অভাব থাকলে তা আপনার মেজাজকে প্রভাবিত করে। এর ঘাটতির কারণে মানুষের মধ্যে বিষণ্নতার লক্ষণও দেখা যায়। এটি আমাদের স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে এবং এটি কার্ডিওভাসকুলার স্থিতিশীলতার জন্য একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এক্ষেত্রে কলা, পালংশাক, কুমড়া, কাজু, বাদাম, ডার্ক চকলেট ইত্যাদি খাবারে অন্তর্ভুক্ত করুন। এতে মন সুস্থ ও ফিট থাকবে।