মানসিক ও শারীরিক চাপ দূর করা
রোজকার ঝঞ্জাটপূর্ণ জীবনে স্ট্রেস আমাদের নিত্যসঙ্গী। অন্তত কিছু সময়ের জন্য যদি রোজ দোলনায় বসে সময় কাটানো যায় তবে আমাদের মানসিক ও শারীরিক চাপ অনেকটাই কমে আসে। দোলনা চড়ার সময় শরীর ও মন উভয়ই প্রাথমিক স্তরের প্রেসার রিলিজ করে, বিশেষ করে শরীরের পেছনের অংশে আরামদায়ক রিলিফ অনুভূত হয়। যে কারণে আমাদের মনও ধীরে ধীরে শান্ত হয়ে আসে।
advertisement
শরীরের পেশিগুলিকে সচল রাখা
শুধু মন নয়, নিয়মিত দোলনায় চড়ার অভ্যেস শরীরের পেশিগুলিকেও সচল রাখে। সমান তালে অনবরত সামনে এবং পেছনের দোল খাওয়ার সময় শরীরের সমস্ত অংশই সজাগ হয়ে ওঠে। যাঁরা সারাদিনের ক্লান্তি শেষে যদি নিজেকে একই সঙ্গে রিলিফ দিতে এবং সজাগ রাখতে চান তাঁদের জন্য দোলনা বিকল্প হতে পারে।
আরও পড়ুন- সারা মুখ ভরে গিয়েছে ব্ল্যাকহেডসে? পুজোর আগেই ঘরোয়া পদ্ধতিতে সমস্যা দূর করুন
আত্মবিশ্বাস বাড়ায়
দোল খাওয়ার সময় যেহেতু আমাদের মানসিক চাপ অনেকটাই কমে আসে তখন আমরা নিজেদের নিয়ে আরও বেশি সচেতন হতে পারি। এই সময় শরীরের জয়েন্টে থাকা রিসেপ্টরগুলো অ্যাক্টিভ হয় যার ফলস্বরূপ আমাদের মধ্যে কনফিডেন্স লেভেল বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন- লেদারের ব্যাগ, জুতো বেশিদিন টিকিয়ে রাখতে চান? মেনে চলুন এই কয়েকটি বিষয়
যোগাসন এবং মেডিটেশন
মনে করা হয় যে, নিয়মিত কিছুক্ষণের জন্য দোলনা চড়ার অভ্যেস করলে আমাদের মনোযোগ বৃদ্ধি পায় ও পিঠের যন্ত্রণা থেকে তাৎক্ষণিক আরাম পাওয়া যায়। সুতরাং দিনের শেষে বা শুরুতে চা, পছন্দ মতো স্ন্যাক্স নিয়ে কিছুটা সময় দোলনায় বসে কাটানো যেতেই পারে। বাচ্চাদের এই অভ্যাস থাকলে তাদের মধ্যে পড়াশোনা-সহ অন্যান্য কাজে ফোকাস বাড়ানোর পাশাপাশি তাদের মধ্যে ব্যালান্স করার প্রবণতাও বাড়ে। দোলনায় সোজা হয়ে শোওয়ার অভ্যেস করতে পারলে তা শরীরে যথাযথ ভাবে রক্ত চলাচলে সহায়তা করবে। এতে আমাদের শরীর দ্রুত স্ট্রেস থেকে মুক্তি পায়।