এমন পরিস্থিতিতে এই ধরনের সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসাই ভাল। কিন্তু কীভাবে বোঝা যাবে যে, এই সম্পর্ক ছেড়ে বেরিয়ে আসার সময় হয়েছে। সম্পর্ক নিয়ে কাজ করা জীবিকা শর্মা আটটি লক্ষণের কথা বলেন যা থেকে বোঝা যায় কীভাবে বিষিয়ে যাচ্ছে সম্পর্ক। সেক্ষেত্রে দূরত্ব বজায় রাখাই একমাত্র পথ হতে পারে।
১. যখন মনে হয় সঙ্গীর তরফ থেকে আর কোনও সম্মান পাওয়া যাচ্ছে না। তখন ভাল করে ভেবে দেখতে হবে সেটা সত্যি কিনা। অসম্মান কখনই গ্রহণযোগ্য নয়। এর অর্থই হল বিষাক্ত সম্পর্কে বহন করে নিয়ে চলা। মজা করা, সমালোচনা করা বা ব্যক্তির যেকোনও প্রচেষ্টাকে অস্বীকার, অবহেলা করা হয় এসব ক্ষেত্রে।
advertisement
আরও পড়ুন: কলকাতা আর জেলায় পুজো কার্নিভাল কবে? তারিখ কিন্তু আলাদা! জানেন তো?
২. সম্পর্কের ক্ষেত্রে বিশ্বাস খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বিশ্বাসহীন সম্পর্কে যদি সঙ্গী ক্রমাগত সন্দেহ করেন বা গুপ্তচরবৃত্তী করেন তাহলে বুঝতে হবে সম্পর্ক বিষিয়ে গিয়েছে।
৩. সঙ্গী যদি প্রকাশ্যে সম্পর্ক স্বীকার করতে না চান বা অস্বস্তি অনুভব করেন অকারণে তাহলে বুঝতে হবে সেই সম্পর্ক অবশ্যই বিষাক্ত।
৪. হিংসাত্মক আচরণ সব সময়ই ক্ষতিকারক। তা সে শারীরিক হোক বা যৌন। এগুলি বিষাক্ত সম্পর্কের চিহ্ন বহন করে।
আরও পড়ুন: পুজোর ছুটিতে ডুয়ার্স যাচ্ছেন, ভুলেও মিস করবেন না এই ফ্যামিলি প্যাক! জমে যাবে ট্যুর
৫. সঙ্গীর অতিরিক্ত আধিপত্যকামী বা নিয়ন্ত্রক মনোভাব থাকলে সেই সম্পর্কও সুস্থ হতে পারে না। সমস্ত কার্যকলাপ যদি সঙ্গী নিয়ন্ত্রণ করতে চান তাহলে সেটা সুস্থতার লক্ষণ নয়।
৬. সঙ্গী প্রতি বিরক্তি, বা সন্তোষ থাকলে, তাঁর কোনও আচরণে বারবার আহত হওয়ার পরও সম্পর্ক টেনে নিয়ে গেলে শেষ পর্যন্ত তা বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে।
৭. সম্পর্কের মধ্যে সত্যতা না থাকলে, একে অপরকে মিথ্যা বললেও তা ধীরে ধীরে বিষাক্ত হয়ে যেতে পারে।
৮. সম্পর্ক ধরে রাখার কোনও রকম উৎসাহ যদি না থাকে সঙ্গীর তরফে, তাহলেও বুঝতে হবে সেই সম্পর্কে বিষ ছড়িয়ে পড়ছে।