১. বেকিং সোডা ও ভিনিগারের মিশ্রণ প্রয়োদে সহজেই হতে পারে জমা জল ক্লিয়ার। এই মিশ্রণ তৈরি করার জন্য এক কাপ বেকিং সোডা নিতে হবে। সঙ্গে এক তৃতীয়াংশ কাপ ভিনিগার নিতে হবে। দুটি মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণটি বাথরুমের পাইপের মুখে ঢেলে দিতে হবে। সারা রাত রেখে দিতে পারলে খুব ভাল। তা নাহলে ঘণ্টা দুয়েক রেখে তারমধ্যে গতিবেগের সঙ্গে জল ঢেলে দিন। তাতে ড্রেনে জমে থাকা ময়লা ক্লিয়ার হয়ে যাবে।
advertisement
২. নুন ও বেকিং সোডাক মিশ্রণও কাজে আসতে পারে বাথরুমের জমা জল পরিষ্কার করার জন্য। আধ কাপ লবণের সঙ্গে আধা কাপ বেকিং সোডা দিয়ে মিশ্রণটি তৈরি করতে হবে। তারপর সেটি বাথরুমের পাইপে ঢেলে দিতে হবে। সারা রাত রেখে পাইপে জল ঢেলে দিন। জমা জল বেরিয়ে যাবে।
৩. বাথরুমের পাইপে অল্প ময়লা জমলে আরও একটি ঘরোয়া উপায় রয়েছে যা কার্যকরী হতে পারে। সেই উপায় হল গরম জল। ড্রেন ব্লক খুলতে, এতে ফুটন্ত জল ঢেলে দিন। মনে রাখবেন দুই ধাপে জল ঢালবেন। প্রথমবার ফুটন্ত জল ঢালার পর কিছু সময় অপেক্ষা করতে হবে। যাতে ভিতরের ময়লা গরম দলের কারণে কিছুটা নরম হয়ে আসে বা পাইপ থেকে ছেড়ে যায়। তারপর দ্বিতীয়বার জল ঢাললে পাইপ পরিষ্কার হয়ে যাবে।
৪. জল যাওয়ার রাস্তা আটকে গেলে প্রথম উপায় হল ‘টয়লেট প্লাঞ্জার’। প্রথমে জল যাওয়ার রাস্তাটা আটকে জল যাওয়া রাস্তা খুলে দিতে হবে। তার ওপর ‘টয়লেট প্লাঞ্জার’ বসিয়ে চাপ দিতে হবে। টয়লেট প্লাঞ্জারের চাপে জল অপসারণের পথ খুলে যাবে। যতক্ষণ জল যাওয়া শুরু না করবে ততক্ষণ চাপ দিতে থাকতে হবে।
আরও পড়ুনঃ মদের সঙ্গে ‘চাট’ হিসেবে খান এই ৫ খাবার! সুস্থ থাকবে শরীর! জেনে নিন বিস্তারিত
৫. রাসায়নিক এই পরিষ্কারক উপাদানগুলো মুলত ‘অ্যালকালাইন বেইজড’। এতে থাকে সোডিয়াম হাইড্রোক্সাইড ও অন্যান্য রাসায়নিক উপাদান যা জল যাওয়া রাস্তায় আটকে থাকা যে কোনো কিছু নরম করে বা গলিয়ে দেয়। তবে এগুলো ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব সাবধান থাকতে হবে। শক্তিশালী এই রাসায়নিক উপাদানগুলো ত্বক, চোখ ও শ্বাসতন্ত্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকারক হতে পারে।