মানেসরের ন্যাশনাল ব্রেন রিসার্চ সেন্টারের গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে হিন্দি বললে মস্তিষ্কে কী ঘটে। এর জন্য গবেষকরা ফাংশনাল ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স ইমেজিং (FMRI) পদ্ধতি ব্যবহার করেছেন।
আরও পড়ুন-রাগ সামলানো দায়, সতর্ক না হলে শরীরে বাসা বাঁধতে পারে ক্যানসারও!
বাংলা বা হিন্দি বলার সময় মস্তিষ্ক কতটা সক্রিয় থাকে?
advertisement
দেবনাগরীতে, ব্যঞ্জনবর্ণগুলি বাম থেকে ডানে লেখা হয়, এই লিপিরই স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণকে একত্রে মিশ্রিত করে হিন্দি লিপি তৈরি হয়েছে। ন্যাশনাল ব্রেন রিসার্চ সেন্টারের সমীক্ষায় বলা হয়েছে, বাংলা বা হিন্দি বলা ও লেখার সময় মস্তিষ্কের বাম ও ডান দিক উভয়ই সক্রিয় হয়ে ওঠে।
যখন ইংরেজি বা অন্যান্য ভাষা শেখানো হয়
যখন ইংরেজি শেখানো হয়, তখন এই ভাষায় রোমান বর্ণমালা ব্যবহার করা হয়। এতে স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণ নেই, যদিও এটি বাম থেকে ডানে লেখা হয়, তবে ইংরেজি পড়ার সময় মস্তিষ্কের বাম অংশ সক্রিয় থাকে। প্রসঙ্গত, চাইনিজ ভাষায় কথা বলার সময়ও মস্তিষ্কের উভয় অংশই সক্রিয় হয়ে ওঠে। বিজ্ঞানীরা দেখেছেন ভাষা পড়ার সময় মস্তিষ্কের বাম বা ডান দিক সক্রিয় থাকলেও কিছু ভাষায় এই দুটি অংশই সক্রিয় হয়ে ওঠে।
পিএনএএস জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণাপত্র অনুসারে, একজন ব্যক্তি যখন একটি শব্দ পড়েন তখন মস্তিষ্কে একই সঙ্গে দুটি প্রক্রিয়া ঘটে। বৈজ্ঞানিক ভাষায়, একটি প্রক্রিয়াকে বলা হয় 'বটম-আপ' যার মাধ্যমে মস্তিষ্ক অক্ষর চিনতে পারে এবং আরেকটি প্রক্রিয়াকে বলা হয় 'টপ-ডাউন', যার মাধ্যমে মস্তিষ্ক স্মৃতির সাহায্যে সেই শব্দগুলির অর্থ বুঝতে পারে।
আরও পড়ুন-যৌন মিলনের সময়ে বা পরে কেঁদে ফেলা? কোন রহস্য লুকিয়ে আছে জটিল এই শারীরিক ইতিবৃত্তে?
আরও পড়ুন-মিষ্টি নয়, এককালে ওষুধ হিসাবে ব্যবহৃত হত! জানেন কি লাড্ডু তৈরির বাহারি ইতিহাস?
একাধিক ভাষা শিখলে কী হয়
অনেক ভাষা শিখলে আমাদের মস্তিষ্কের উপর ইতিবাচক প্রভাব পড়ে ও তা সক্রিয় হয়। সুইডেনের লুন্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দেখেছেন যে ভাষা মস্তিষ্কের হিপ্পোক্যাম্পাল অংশের বিকাশ ঘটায়, এই অংশটি শেখা, অনুসন্ধান, কিছু সনাক্ত করতে ব্যবহৃত হয়।
কেন শৈশবে অনেক ভাষা শেখা সহজ
অন্য একটি গবেষণা বলছে যে শৈশবে ভাষা শেখা আমাদের পক্ষে সহজ, কারণ তখন মস্তিষ্ক সহজেই এটি ধাতস্থ করে নেয় এবং নতুন তথ্য ভালভাবে সংরক্ষণ করে।