সম্প্রতি এই মর্মে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে ডেইলি মেলে। সেই প্রতিবেদন আমাদের জানাচ্ছে গবেষক তথা বিজ্ঞানী ডিজায়ার রোয়ারডিঙ্কের কথা। তিনি এবং তাঁর অধীনে থাকা গবেষক দল এই নতুন সমীক্ষার রিপোর্ট খুব তাড়াতাড়ি পড়ে শোনাতে চলেছেন ২০২১ ইজিইউ জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে। চলতি মাসের ১৯ তারিখ থেকেই এই অধিবেশন শুরু হয়ে গিয়েছে, চলবে ৩০ তারিখ পর্যন্ত। কথা হল, আচমকা পৃথিবীর স্থলের উপরিভাগের বয়স নিয়ে নতুন করে গবেষণার প্রয়োজন কেন বোধ করলেন রোয়ারডিঙ্ক?
advertisement
নরওয়ের এই জিওকেমিস্ট এই প্রসঙ্গে তুলে ধরেছেন গবেষণার পদ্ধতির কথা। তিনি জানিয়েছেন যে এত দিন পর্যন্ত পৃথিবীর স্থলের উপরিভাগের বয়স নির্ধারণ করার কাজ চলত মেরিন কার্বোনেট নামের এক ধরনের যৌগ নিয়ে যা সাধারণত সুপ্রাচীন পাথরে দেখা যায়। এই মেরিন কার্বোনেটের মধ্যে উপস্থিত স্ট্রোনটিয়াম আইসোটোপ পরীক্ষা করে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া গিয়েছিল যে আজ থেকে ৩ বিলিয়ন বছর আগে পৃথিবীর স্থলভাগ তৈরি হয়েছিল। কিন্তু রোয়ারডিঙ্ক জানাচ্ছেন যে তাঁরা আরও প্রাচীন উপাদানের সন্ধান পেয়েছেন। এটি হল ব্যারাইট নামের এক ধরনের যৌগ। এটিও সুপ্রাচীন পাথরের মধ্যে পাওয়া যায়, তবে এর উপস্থিতি আরও অনেক বছর বেশি, ৩.৫ বিলিয়ন থেকে ৩.৭ বিলিয়নের মধ্যে।
ব্যারাইটের এই বয়স মাথায় রেখেই রোয়ারডিঙ্ক জানিয়েছেন যে এটি যদি এত পুরনো হয়, তাহলে পৃথিবীর স্থলের উপরিভাগও সেই অনুপাতে পুরনো হতে বাধ্য। তবে এখনই নির্দিষ্ট করে কোনও কিছু দেগে দিতে চাইছেন না তিনি, বলছেন যে এই নিয়ে বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজন আছে।