মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণী
মানুষ অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় একেবারেই ভিন্ন ভাবে বিবর্তিত হয়েছে। আমাদের মস্তিষ্কের আকার আমাদের দেহের তুলনায় অনেক বড় এবং আমাদের বুদ্ধিমত্তা এমনভাবে বিবর্তিত হয়েছে যা অন্য প্রাণীর করেনি, যার ফলে তারা বুদ্ধিমত্তার স্তর অর্জন করতে পারেনি যাতে মানুষ পৌঁছেছে।
advertisement
অস্তিত্বের জন্য গুণাবলীর বিকাশ
প্রাণীদের মধ্যে নানা গুণের পিছনে একটিই কারণ ছিল এবং তা হল তারা যাতে নিজেদের আরও ভাল ভাবে রক্ষা করতে পারে। নিজেদের বেঁচে থাকার সংগ্রামে এই সমস্ত বৈশিষ্ট্যের কোনও না কোনও আকারে কোনও না কোনও উপযোগিতা ছিল।
আরও পড়ুন-Viral News: খাবারে বিষ মিশিয়ে পুত্রবধূকে হত্যার চেষ্টা! অবশেষে সামনে এল সত্য
জেনেটিক্সের মাধ্যমে এই বৈশিষ্ট্যগুলি প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রেরণ করা হয় এবং সে গুলিও প্রয়োজন অনুসারে পরবর্তীতে পরিবর্তিত হয় এবং বিবর্তন প্রক্রিয়া এভাবেই চলতে থাকে। মানুষের মধ্যে বুদ্ধিমত্তার সূচনা সম্পর্কে অনেক ধরনের অনুমান রয়েছে। এর মধ্যে একটি হল বায়োকালচার প্রজনন।
জৈবসাংস্কৃতিক প্রজনন
অন্যান্য প্রাণীর তুলনায় মানুষের মস্তিষ্ক বড় হওয়ার কারণে তারা আরও বেশি শিশুকে বাঁচিয়ে রাখতে সক্ষম হয়েছিল। জৈবসাংস্কৃতিক প্রজনন ধারণা অনুসারে, বুদ্ধিমত্তার সাহায্যে বেঁচে থাকার এবং পরে একে অপরের যত্ন নেওয়ার ক্ষমতা বিকাশ হয়েছে।
মানুষের মস্তিষ্কের বিকাশ
এটাকে কাকতালীয়ও বলা যেতে পারে যে এই ক্ষমতার সঙ্গে মানুষের মস্তিষ্কে পরিবর্তন ঘটেছিল, কিন্তু অন্যান্য প্রাণীরা এই বিশেষ বিকাশের ক্রম থেকে পিছিয়ে পড়ে। সামাজিক গোষ্ঠী বা শিশু পালন প্রক্রিয়া প্রাণীদের মধ্যে দেখা গেলেও একে বলা হয় সমবায় প্রজনন।
বায়োকালচারাল প্রজনন কী?
মানুষ সহযোগিতার দিক থেকে বেশ ভিন্ন। মানুষ তার সন্তানদের লালনপালনের ক্ষেত্রে আরও সহযোগিতামূলক মনোভাব পোষণ করে। তারা অন্যের বাচ্চাদেরও যত্ন নিতে পারে। এমনকি তারা এই প্রক্রিয়ায় বিনিয়োগ করে এবং প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে শিশুদের বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখে। এই সহায়ক প্রক্রিয়াটিকে বলা হয় জৈবসাংস্কৃতিক প্রজনন।