ঝুঁকির কারণ—
বংশগতি
ডায়াবেটিসের পারিবারিক ইতিহাস থাকলে ঝুঁকি বাড়ে। বাবা, মা বা ভাইবোনের ডায়াবেটিস থাকলে বংশগত প্রবণতা দেখা যেতে পারে।
বয়স
৪২-৪৮ বছর বয়সী ব্যক্তিদের ডায়াবেটিসের আশঙ্কা সব থেকে বেশি। ৪৫ বছর বয়সে রোগ নির্ণয় করে ফেলা খুব জরুরি ।
advertisement
ওজন
স্থূলতা বা অতিরিক্ত ওজন ডায়াবেটিস ডেকে আনতে পারে। শরীরের অতিরিক্ত ওজনের ৫-১০ শতাংশ বাড়ায় ডায়াবেটিসের ঝুঁকি।
ডায়েট
অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস ঝুঁকি বাড়ায়। পুষ্টিকর, সুষম খাদ্য খাওয়া খুব জরুরি।
ব্যায়াম
শারীরিক নিষ্ক্রিয়তা ডায়াবেটিসের একটি প্রধান ঝুঁকির কারণ। প্রতি সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট নিয়মিত ব্যায়াম করা দরকার। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কম হতে পারে।
আরও পড়ুন-ভুলেও ‘এই’ ৫ জিনিস ফেলবেন না হাত থেকে, হু হু বেরিয়ে যাবে টাকা, ভুগবেন চরম আর্থিক সঙ্কটে!
ঘুম
অতিরিক্ত বেশি বা কম ঘুম উচ্চ A1C-এর সঙ্গে যুক্ত। এতে ডায়াবেটিসের সম্ভাবনা বাড়ে। রাতে সাত থেকে নয় ঘণ্টা ঘুম যেকোনও মানুষের প্রয়োজন।
ধূমপান
তামাক এবং নিকোটিন পণ্যের ব্যবহার, সক্রিয় এবং পরোক্ষ ধূমপান ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। অবিলম্বে এই অভ্যাস ত্যাগ করা দরকার। প্রয়োজনে বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে হবে।
অ্যালকোহল
প্রতিদিন মদ্যপান অগ্ন্যাশয় এবং লিভারের ক্ষতি করে। রক্তে গ্লুকোজ নিয়ন্ত্রণকে প্রভাবিত করে। এতেও ডায়াবেটিসের আশঙ্কা বাড়ে।
রক্তচাপ
উচ্চ রক্তচাপের চিকিৎসা না করা হলে হৃদযন্ত্র ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে। ডায়াবেটিস এবং উচ্চ চাপে আক্রান্ত ব্যক্তিদের ১৩০/৮০ মিমি Hg-এর কম রক্তচাপ বজায় রাখা উচিত।
মানসিক চাপ
মানসিক চাপ ও উদ্বেগ নিয়ন্ত্রণে রাখা খুব দরকার। শুধুমাত্র ডায়াবেটিসের জন্য নয়, সামগ্রিক স্বাস্থ্যের জন্য। মানসিক চাপের কারণ চিহ্নিত করে তা অবিলম্বে সমাধান করে ফেলতে হবে।