আয়ুর্বেদিক শ্যাম্পু রেসিপি: এখানে যে উপাদানগুলো নেওয়া হবে সবই গুঁড়ো আকারে। মুদির দোকানেই এগুলো কিনতে পাওয়া যায়। অনলাইনেও মিলবে। উপাদানগুলোর মধ্যে অন্যতম হল ২৫ গ্রাম শিকাকাই, ২৫ গ্রাম রিঠা এবং ২৫ গ্রাম আমলা। এই ৩টি উপাদান যে কোনও আয়ুর্বেদ শ্যাম্পুর বেস বা ভিত্তি তৈরি করে। প্রথম দুটি প্রাকৃতিক সার্ফ্যাক্টেন্ট হিসাবে কাজ করে। আমলা চুল এবং মাথার ত্বক উভয়কেই সমৃদ্ধ করার প্রচুর বৈশিষ্ট রয়েছে।
advertisement
এই তিনটি উপাদানের সঙ্গে যোগ করতে হবে ২৫ গ্রাম জবা ফুলের পাপড়ি, ২৫ গ্রাম নিম, ২৫ গ্রাম তুলসি, ২৫ গ্রাম মেথি, ২৫ গ্রাম গোলাপ ফুলের পাপড়ি, ২৫ গ্রাম ব্রাহ্মী, ২৫ গ্রাম সবুজ ছোলা এবং ২৫ গ্রাম চন্দন (ঐচ্ছিক)। এবার এই সবকটা উপাদান মিশিয়ে একটা সূক্ষ মিশ্রণ তৈরি করতে হবে।
আরও পড়ুন: রাতেই এল ইমেইল, সিবিআই-কে যা জানিয়ে দিলেন তৃণমূল বিধায়ক...
ব্যবহারের পদ্ধতি: ৪ টেবিল চামচ গুঁড়ো পাউডার নিয়ে তাতে ডিস্টিল ওয়াটার মিশিয়ে সেটা শ্যাম্পুর মতো চুলে লাগাতে হবে। ডিস্টিল ওয়াটারের বদলে গোলাপ জল বা দই ব্যবহার করা যায়। তবে ভালো টেক্সচার পাওয়ার জন্য মিশ্রণটাকে ফেটিয়ে নিতে হবে। বাকি পাউডার এয়ার টাইট বোতলে সংরক্ষণ করা যায়। তবে যে কোনও ধরনের আর্দ্রতা থেকে দূরে রাখতে হবে। চার টেবিল চামচ ছোট চুলের জন্য উপযুক্ত, তবে বড় চুল হলে আর একটু বেশি পাউডার নিতে হবে।
আরও পড়ুন: ফের মডেল-অভিনেত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু, বিদিশার বন্ধু মঞ্জুষা নিয়োগীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার !
গুঁড়ো পাউডারের সঙ্গে ডিস্টল ওয়াটার, গোলাপ জল বা দই সারারাত মিশিয়ে রাখতে পারলে খুব ভালো। তবে আবশ্যক নয়। তবে বিশেষজ্ঞরা বলেন, চুলে ব্যবহারের অন্তত ৩ ঘণ্টা আগে মিশ্রণটা তৈরি করে নিতে হবে। এছাড়া মিশ্রণটা চুলে লাগাবার আগে ভালো করে ফেটিয়ে নেওয়াটা জরুরি। এতে টেক্সচার ভালো হবে। তবে বাজারচলতি শ্যাম্পুর মতো ফেনার আশা না করাই ভাল। যদিও কাজ হবে বাজারচলতি যে কোনও শ্যাম্পুর থেকে অনেক বেশি!