চিনি: প্রতিটা রান্নাঘরে চিনি থাকবেই। চা, কফি, মিল্কশেক তো বটেই তরকারির স্বাদ বাড়াতে অনেক সময় কয়েক চামচ চিনি দেওয়া হয়। কিন্তু অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলে উচ্চ রক্তচাপ, প্রদাহ, ওজন বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস এবং ফ্যাটি লিভারের মতো রোগ হতে পারে। শুধু তাই নয়, এই রোগগুলো একবার ধরলে স্ট্রোক এবং হৃদরোগের ঝুঁকিও বেড়ে যায়।
advertisement
আরও পড়ুন: কোলেস্টেরল থেকে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি? একদম অবহেলা করবেন না, অবশ্যই জানুন
রিফাইনড ময়দা: বড় ড্রামে ময়দাও থাকে প্রত্যেক রান্নাঘরে। কুকিজ, কেক, সিরিয়াল, রুটি, পাস্তা, লুচি, পরোটা বানাতে এটা অপরিহার্য। কিন্তু অত্যধিক পরিশোধিত ময়দা খেলে ওজন বৃদ্ধি, বিপাকীয় সমস্যা, কার্ডিওভাসকুলার রোগ এবং এমনকী ক্যানসারও হতে পারে। শুধু তাই নয়, রিফাইনড ময়দার খাবার বেশি খেলে খাদ্যতালিকাগত ফাইবার, বি ভিটামিন, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম এবং ভিটামিন ই-র উল্লেখযোগ্য ক্ষতি হয়।
আরও পড়ুন: বিয়ের পরেই দাম্পত্য যৌনতায় ভাটা? মিলনের সময় মাথায় রাখুন এই ৫ টোটকা
নুন: অত্যধিক নুন উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ এবং স্ট্রোকের ঝুঁকি বাড়ায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, বেশির ভাগ মানুষই বেশি নুন খেতে পছন্দ করেন - প্রতিদিন গড়ে ৯ থেকে ১২ গ্রাম, বা প্রস্তাবিত সর্বোচ্চ মাত্রার প্রায় দ্বিগুণ। সোডিয়াম গ্রহণ কমাতে পারলে অনেক ধরনের রোগ প্রতিরোধ করা যায়।
তেল: ভাজাভুজি থেকে তরকারি, তেল ছাড়া মন ওঠে না! এমনটা হলে সাবধান হওয়ার সময় এসেছে। পকোড়া, পেঁয়াজি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, হিমায়িত খাবার যত কম খাওয়া যায় ততই ভাল। না হলে হার্ট অ্যাটাক, স্ট্রোক, স্তন বা ওভারিয়ান ক্যানসার, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ, অস্বাস্থ্যকর ওজন বৃদ্ধি এবং জয়েন্টে ব্যথার ঝুঁকি বাড়বে।
পরিশেষে: তেল, নুন বা চিনি খাওয়া বন্ধ করে দেওয়ার কথা বলা হচ্ছে না। বলে হচ্ছে, এই ধরনের খাবার কম খেতে হবে। স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। যেমন রিফাইনড ময়দার বদলে রাগি বা পুরো গমের মতো স্বাস্থ্যকর এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ময়দা খাওয়া যায়। চিনির পরিবর্তে গুড় বেছে নেওয়া সবচেয়ে ভাল। এই সামান্য পরিবর্তনেই স্বাস্থ্য ভাল থাকবে, রোগভোগের ঝুঁকি কমবে।
(Disclaimer: এই প্রতিবেদনটি কেবলমাত্র সাধারণ তথ্যের জন্য, তাই বিস্তারিত জানতে হলে সর্বদা বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।)