ডাক্তার মল্লিকের কথায়, লিঙ্গোত্থান হয় মূলত এই অঙ্গের রক্তবাহগুলি সঠিকভাবে কাজ করলে৷ পুরুষাঙ্গে রক্ত সরবরাহ সঠিক ভাবে বজায় থাকলে লিঙ্গ শক্ত হবে৷ তাই রক্তপ্রবাহ সঠিক ভাবে বজায় থাকতে হবে৷ বলছেন ডাক্তার মল্লিক৷ রক্তবাহে সমস্যা দেখা দিলে লিঙ্গ শিথিলতা হবে৷ কিডনির অসুখে রক্তবাহগুলি ঠিকমতো কাজ করে না৷ ফলে লিঙ্গ শিথিল হয়ে যাওয়ার সমস্যা খুবই কমন সেক্ষেত্রে৷ তিনি ব্যাখ্যা করেছেন যে কিডনির রোগে রক্তবাহের সমস্যা ছাড়াও লিঙ্গ শিথিল হয় ক্ষতিগ্রস্ত নার্ভ বা স্নায়ুর সমস্যা, হরমোনের পরিবর্তন এবং বিশেষ কিছু ওষুধের প্রভাবে৷
advertisement
এছাড়া মানসিক অবসাদ,উদ্বেগের কারণেও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হতে পারে৷ ডায়াবেটিস, হাই ব্লাড প্রেশারের কারণে রক্তবাহে সমস্যা দেখা দিতে পারে৷ তার থেকেও কিডনির রোগ ও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হতে পারে৷ কিডনির রোগ হলে শরীর থেকে বর্জ্য বা দূষিত ঠিকমতো বাইরে বার হতে পারে না৷ ফলে শরীরের স্নায়ুতন্ত্র ঠিকমতো কাজ করতে পারে না৷ কারণ এই বর্জ্যগুলি নার্ভকে দুর্বল করে ফেলে৷ আমাদের এনার্জি কমে যায়৷ সেইসঙ্গে যৌন সম্পর্কের ইচ্ছে বা লিবিডোও কমে যায়৷
কিডনির রোগে শরীরে হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়৷ কারণ প্রোল্যাক্টিন বেড়ে যায়৷ টেস্টোস্টেরন কমে যায়৷ এর ঠিক বিপরীত ছবি দরকার লিঙ্গোত্থানের জন্য৷ ফলে কিডনি দুর্বল হলে দেখা দেয় লিঙ্গ শিথিল হওয়ার সমস্যা৷ তাছাড়া কিডনির সমস্যায় শরীরে ক্লান্তি বেড়ে যায়৷ কিডনির রোগে আমরা বিমর্ষ হয়ে পড়ি৷ মানসিক এই সমস্যার জন্যেও ইরেক্টাইল ডিসফাংশন হয়৷ ডাক্তার মল্লিকের ধারণা, ওষুধের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও দায়ী হতে পারে৷
আরও পড়ুন : এই ৪ জন শত তেষ্টা পেলেও তামার পাত্র থেকে জল খাবেন না!অজান্তেই ক্ষতির বিষে কুরে কুরে ঝাঁঝরা হবে শরীর!
কিডনির সমস্যায় লিঙ্গ শিথিলতা আটকাতে আগে সেই কারণগুলিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে যার কারণে কিডনির রোগ হয়৷ আমাদের অ্যাক্টিভিটির মধ্যে থাকতে হবে৷ মানসিক ভাবে ভাল থাকতে হবে৷ মানসিক অবসাদ এলে পার্টনারের সঙ্গে কথা বলতে হবে৷ দরকারে মনোবিদের সাহায্য নিতে হবে৷ শারীরিক সুস্থতার সঙ্গে মানসিক স্বাস্থ্যও খুব জরুরি৷ তবেই কিডনির রোগ তথা লিঙ্গ শিথিলতা নিয়ন্ত্রিত হবে৷ যৌন সম্পর্ক মসৃণ হবে৷
( তথ্যসূত্র : ডাক্তার এ. এস. মল্লিকের ফেসবুক পেজ)