উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহাকুমার স্বরূপনগর, সন্দেশখালি, হিঙ্গলগঞ্জ ও বসিরহাট ব্লক জুড়ে শত শত পরিবার আজও খালবিল থেকে ‘গুগলি’ শামুক ধরে বিক্রি করে দিন গুজরান করেন। নদীর পাড় বা বিলের জলে ঘুরে বেড়ানো এই শামুকের বৈজ্ঞানিক নাম Helix Pomatia। এক টিন শামুকের দাম মাত্র ৮০ টাকা। তবে কলকাতা থেকে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে—ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড, নাগাল্যান্ড, মণিপুর ও ত্রিপুরার বাজারে পৌঁছে এর কদর বেড়ে যায় বহুগুণে। সেখানকার আদিবাসী ও উপজাতি সম্প্রদায়ের কাছে এটি অত্যন্ত জনপ্রিয় খাবার।
advertisement
উত্তর ২৪ পরগনার সুন্দরবনের এক শামুক সংগ্রাহক গড়িমন বিবি বলেন, “ভোর তিনটেয় নদীর পাড়ে নামতে হয়। তিন ঘণ্টা শামুক কুড়িয়ে আয় হয় মাত্র ২০০ থেকে ২৫০ টাকা।” আরেকজন সংগ্রাহক আয়েশা বিবি জানান, “সাপ ও বিষাক্ত পোকামাকড়ের ভয়ে জল নামতে আমাদের ভয় লাগে। তবুও পেটের টানে করতে হয় এই কাজ।”
আপনার শহরের হাসপাতাল এবং চিকিৎসকদের নামের তালিকা পেতে এখানে Click করুন
বর্ষাকালে শামুক মেলে সহজেই। কিন্তু মরশুম ফুরোলেই সংগ্রহ বন্ধ। তখন অনেকেই ইটভাটায় কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করেন। আবার ভাটা বন্ধ হলে ফিরে আসেন এই শামুক ধরার পেশায়। ব্যবসায়ীরা স্থানীয়দের কাছ থেকে কম দামে কিনে তা দেশের বিভিন্ন প্রান্তে এবং বিদেশে রফতানি করেন। কারণ এই গুগলিতে রয়েছে ব্যাপক স্বাস্থ্যগুণ। ভিটামিন -এ থাকায় তা চোখের জন্য উপকারী৷ পটাশিয়ামের মাত্রা বেশি এবং সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকে, যার ফলে এটি রক্ত চাপের মাত্রা বজায় রাখে, হৃদ ও কিডনির রোগের ঝুঁকি কমায়। প্রচুর পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড পাওয়া যায় সেজন্য এটি মস্তিষ্কের বৃদ্ধি এবং স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।