ভাগীরথীর পশ্চিম পারে মন্দির অধ্যুষিত গ্রাম কিরীটেশ্বরী। যদিও গ্রামের নাম কিরীটকণা। প্রাচীন মহাপীঠ হিসেবে জাগ্রত। কিরীটেশ্বরী মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে নানা মত প্রচলিত রয়েছে। শোনা যায়, ১১০৪ বঙ্গাব্দে নাটোরের রানি ভবানী এই মন্দির প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ১৩৩৭ বঙ্গাব্দে মহারাজা যোগেন্দ্রনারায়ণ রাই এই মন্দিরের সংস্কার করেন।
কিরীটেশ্বরী মন্দিরের ইতিহাস নিয়ে বহু মত প্রচলিত আছে। মন্দিরের সেবাইতরা জানাচ্ছেন, কিরীট কথাটি এসেছে করোটি বা মাথার খুলি থেকে। ১১০৪ বঙ্গাব্দে মন্দির প্রতিষ্ঠা করেন নাটোরের রানি ভবানী। পরবর্তী সময়ে মহারাজা রাও যোগেন্দ্রনারায়ণ রায় ১৩৩৭ বঙ্গাব্দে এই মন্দিরের সংস্কার করেন। তবে যোগেন্দ্রনারায়ণ রায়ের সময়ের যে তথ্য পাওয়া গিয়েছে, তাতে পুনঃসংস্কারের কথা উল্লেখ রয়েছে। সেক্ষেত্রে তার আগে আরও কেউ এই মন্দিরের সংস্কার করেছেন বলেই মনে করা হয়।
advertisement
যদিও পর্যটকদের দাবি, কিরীটেশ্বরী গ্রাম যাওয়ার এবং থাকার ব্যবস্থা খুব একটা ভাল নয়। পীঠস্থান হিসেবে জাগ্রত হলেও, এখানে পর্যটকদের রাত কাটানোর জন্য তেমন ব্যবস্থা নেই। বহরমপুর বা হাজারদুয়ারিতে রাত কাটিয়ে আপনাকে যেতে হবে কিরীটেশ্বরী গ্রামে। ভাগীরথী নদী পার করে পৌঁছাতে হবে কিরীটেশ্বরী মন্দিরের কাছে। নদী পার করার পর টোটোয় চেপে যেতে হবে অনেকটা পথ।