জয়নগরের মোয়া খেলে শরীরে নলেন গুড়ের উপকারিতাও পৌঁছয়। শীতে নলেন গুড়ের স্বাদ অত্যন্ত উপাদেয়। আয়ুর্বেদ মতে নলেন গুড়ের প্রভাবে শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়। কর্মশক্তির যোগান হয়। নিয়ন্ত্রিত হয় শরীরের গাঁটের যন্ত্রণা। পুষ্টিবিদ প্রিয়াঙ্কা শর্মার মতে, সুস্থতার জন্য চিনির তুলনায় অনেক বেশি কার্যকর হল নলেন গুড়। মোলাসেস থাকার ফলে গুড়ের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি। তাছাড়া নলেন গুড় প্রাকৃতিক মিষ্টত্ব নিয়ে আসে।
advertisement
প্রিয়াঙ্কার মতে নলেন গুড়ে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ এবং পটাশিয়াম আছে। পাশাপাশি আছে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম এবং জিঙ্ক। নলেন গুড়ে থাকা আয়রন শরীরে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বজায় রাখে।প্রচুর পটাশিয়াম থাকার কারণে নলেন গুড় শরীরের ওয়াটার রিটেনশন কমিয়ে ইলেকট্রোলাইট ব্যালান্স বজায় রাখে। এন্ড্রোফিন্স নিঃসরণ করিয়ে ঋতুস্রাবের যন্ত্রণা প্রশমিত করে নলেন গুড়।
একইসঙ্গে মরশুমি ঠান্ডায় গলার সংক্রমণ রোধ করে সর্দিকাশি রোধে সক্রিয় নলেন গুড়। ভারতীয় সংস্কৃতিতে হজমের সমস্যা দূর করতে দেওয়া হয় গুড়। কর্মশক্তি ও এনার্জি বৃদ্ধিতেও জুড়িহীন গুড়। যাঁদের মাইগ্রেনের সমস্যা আছে, তাঁরা প্রাকৃতিক ব্যথানাশক হিসেবে গুড় খেতে পারেন। প্রচুর ক্যালসিয়াম থাকে বলে হাড় মজবুত করে নলেন গুড়। কমায় আর্থ্রাইটিসের মতো সমস্যা।
জয়নগরের মোয়া খেলে নলেন গুড়ের বৈশিষ্ট্য তথা উপকারিতা পায় শরীর। একইসঙ্গে কনকচূড় ধানের খই, চিনি এবং খোয়া ক্ষীরের উপকারিতা থেকেও বঞ্চিত হতে হয় না। তবে তাই বলে স্বাস্থ্য ও স্বাদের দোহাই দিয়ে বেশি বেশি মোয়া খেতে চলবে না। ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে শীতে জয়নগরের মোয়া খান পরিমিত পরিমাণে।