TRENDING:

দেখার কিছু না থাকলেও ছুটে আসেন পর্যটকরা! কীসের টানে? ঝাড়গ্রাম ঘুরতে গেলে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না 'এই' গ্রামে

Last Updated:

দেখার মতো তেমন কিছু নেই! তবুও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্রত্যন্ত গ্রামটি। কারণ প্রতিবছর বর্ষার মরশুমে জামবনি ব্লকের কেন্দুয়া গ্রামের রাস্তার ধারে, পুকুর পাড়ে, গেরস্থের আঙিনায় রয়েছে কয়েকটি তেঁতুলগাছ।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
ঝাড়গ্রাম, রাজু সিং: সাইবেরিয়া থেকে দলে দলে, ঝাঁক বেঁধে আসে আর ঝাড়গ্রামে বাসা বাঁধে। কয়েক মাস ধরে নিশ্চিন্তে দিন গুজরানোর পর ফিরে যায় আপন আলয়ে। ছোট্ট একটি গ্রাম! কেন্দুয়া দেখার মতো তেমন কিছু নেই! তবুও পর্যটকদের কাছে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে প্রত্যন্ত গ্রামটি। কারণ প্রতিবছর বর্ষার মরশুমে জামবনি ব্লকের কেন্দুয়া গ্রামের রাস্তার ধারে, পুকুর পাড়ে, গেরস্থের আঙিনায় রয়েছে কয়েকটি তেঁতুলগাছ। এই কেন্দুয়া গ্রামেই এক গৃহস্থের উঠোনের দু’টি তেঁতুল গাছে প্রতি বছর বর্ষার আগে ঝাঁকে ঝাঁকে এসে বাসা বাঁধে শামুকখোল। অর্থাৎ সাইবেরিয়া থেকে আসা পরিযায়ী পাখির দল।
ঝাড়গ্রাম ভ্রমণ
ঝাড়গ্রাম ভ্রমণ
advertisement

বর্ষা শুরু হলেই গাছের ডালে বাসায় ডিম পাড়ে স্ত্রী শামুকখোল। ভরা বর্ষায় ডিম ফুটে বের হওয়া ছানারা এক সময় উড়তে শেখে। হেমন্তের শুরুতে ঝাঁকে ঝাঁকে পাখির দল ফিরে যায় নিজেদের ডেরায় অন্য কোনও দেশে। কেন্দুয়া গ্রামের বাসিন্দা বিধান মাহাতর বাড়ির উঠোনের তেঁতুল গাছে প্রতি বছর এই ‘অতিথি’-দের দেখতে ভিড় করেন পর্যটকরা। সময়ের সঙ্গে বদলে গিয়েছে পরিবেশ। কয়েকশো বছরের পুরনো তেঁতুল গাছগুলি আর আগের মতো শক্তপোক্ত নেই। গাছ ভেঙে পড়লে পাখিরা থাকবে কোথায়!

advertisement

আরও পড়ুন: অনেক হল ইলিশ ভোজন, এবার ইলিশ…! রুপোলি ফসলকে নিয়ে এবার অভিনব উৎসব, নজর কাড়ল জেলায়

জঙ্গলমহল ঝাড়গ্রামের পর্যটনের অন্যতম দর্শনীয় স্থান চিলকিগড়, রামেশ্বর, বেলপাহাড়ি, কাঁকড়াঝোড়, হাতিবাড়ি, সীমান্তের চিত্রেশ্বর, লালজলে আদিম মানুষের গুহার পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে অতি পরিচিত কেন্দুয়া গ্রামের এই পরিযায়ী পাখিরা। ফি বছর বাংলার বিভিন্ন জেলার পাশাপাশি ঝাড়খণ্ড-ওড়িশার ভ্রমণপিপাসু মানুষেরা এদের টানে কেন্দুয়া ছুটে আসেন। তাই স্থানীয়রা পাখির দলকে রক্ষার জন্য প্রশাসনকে বিষয়টি জানিয়েছেন।

advertisement

আরও পড়ুন: মেলেনি আবাস যোজনা, সন্তান নিয়ে ভাঙা ঘরে বাস স্বামীহারা মহিলার! কষ্ট দেখে নিজের টাকায় ঝাঁ চকচকে বাড়ি বানিয়ে দিলেন বিধায়ক

তবে এই অতিথিদের কাছে বর্তমানে চরম সঙ্কটের কারণ হল রাত হলেই তাদের বাসায় হানা দেয় চোরাশিকারির দল। বর্ষার শেষে ঝাঁকে ঝাঁকে এই পাখির দল উড়ে এসে বাসা বাঁধে কেন্দুয়া গ্রামের যতীন্দ্রনাথ মাহাতর তেঁতুল গাছে। কার্তিক মাসের পর ফিরে যায় সাইবেরিয়া। কয়েক দশক ধরেই চলছে সাইবেরিয়ার অতিথিদের আনাগোনা। এই কয়েকমাস সকালে এখানকার গ্রামবাসীদের ঘুম ভাঙে পরিযায়ী পাখির কলরবে সকালে। তাই তারা আসার পর গ্রামবাসীরা আনন্দে থাকেন। ফিরে গেলেই মন খারাপ।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
দেখার কিছু না থাকলেও ছুটে আসেন পর্যটকরা! কীসের টানে? ঝাড়গ্রাম ঘুরতে গেলে ঢুঁ মারতে ভুলবেন না 'এই' গ্রামে
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল