ভুটান প্রশাসন ও আলিপুরদুয়ার জেলা প্রশাসন সবসময় এই এলাকাটির দিকে নজর রাখেন। প্রতিবছর শিবরাত্রি উপলক্ষে জয়ন্তী মহাকাল ধামে কয়েক লক্ষ ভক্তবৃন্দের সমাগম হয়।তবে শিবরাত্রি বাদেও পর্যটকরা আসেন এই স্থানে। সাধু ও সন্ন্যাসীদের যাতায়াত সব সময় লেগে থাকে জয়ন্তী মহাকালধামে। আলিপুরদুয়ার জেলার বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের জঙ্গলের ভেতর দিয়ে কয়েক কিলোমিটার পাহাড়ি পথ হেঁটে যাওয়ার পর প্রতিবেশী দেশ ভুটান পাহাড়ের জয়ন্তী মহাকাল ধাম দর্শন করা যায়।
advertisement
দর্শনার্থীদের সুবিধার্থে জয়ন্তী নদী থেকে মহাকাল পর্যন্ত যাওয়ার অস্থায়ী সড়ক নির্মাণ করেছে আলিপুরদুয়ার জেলা পরিষদ।তবে এই এলাকায় এলে শুধু অনুভব করতে হবে প্রকৃতিকে। বন দফতরের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ রয়েছে কোনও প্রকার সাউন্ড বক্স, ডিজে ও প্লাস্টিক ব্যবহার। দর্শনার্থীরা আসেন জয়ন্তী নদী, পাহাড়ি রাস্তা পার করে ভুটান পাহাড়ে স্থিত মহাকাল মন্দিরে পুজো দিতে। তাঁদের কথা মাথায় রেখে সহজে যাতে দর্শনার্থীরা এবং যান চলাচল করতে পারেন সে জন্য নদীপথে তৈরি হচ্ছে প্রায় চার কিলোমিটার অস্থায়ী রাস্তা।
জয়ন্তী মহাকাল ধামের সেবায়তের কথায়, জয়ন্তী মহাকাল ধাম যেখানে রয়েছে সেখানে পাহাড় আকার নিয়েছে শিবের জটার ন্যায়। শুধু শিব নয়, গণেশ ও শক্তি পুজো হয় পাহাড়ের গুহায়।