কাঁঠালপাতার উপর বিছিয়ে রাখা ৫ রকম ফল, পান সুপুরি, ধান দূর্বা, করমচা ফল, তালপাতার পাখার মতো সহজ উপকরণেই সাজানো হয় অরণ্যষষ্ঠীর ডালা৷ মা ষষ্ঠীর থানে পুজো দিয়ে আসার পর জামাইয়ের হাতে তেলহলুদ মাখানো সুতো বেঁধে দেন শাশুড়ি মা৷ তাঁর মঙ্গলকামনায় তেলহলুদের ফোঁটা দিয়ে তালপাতার পাখা ও ভেজা দূর্বাঘাসের বাতাস করা হয়৷ জামাইয়ের মাথায় ধান দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করেন শাশুড়ি মা৷ পরে থাকে ভোজনের আয়োজন৷ সাধারণত দিনেই মধ্যাহ্নভোজের আহার হিসেবেই প্রচলিত জামাইষষ্ঠীর আপ্যায়ন৷ এখন চাকরি সূত্রে সকালে আসতে না পারলে রাতে বা উইকএন্ডেও চলে খাওয়াদাওয়া৷ রকমারি রান্নার পাশাপাশি আহারে প্রধান ভূমিকা পালন করে গ্রীষ্মের মরশুমি ফলও৷
advertisement
আরও পড়ুন : এ বছর জামাইষষ্ঠী কবে? জানুন সে দিন কত ক্ষণ থাকবে ষষ্ঠী তিথি
বুধবার রাত ১/২৭/১৯-এ শুরু হয়েছে ষষ্ঠী তিথি৷ আজ রাত ৩/২৬/৫২ পর্যন্ত থাকবে জামাইষষ্ঠী তিথি৷ এ দিন পাখার বাতাসের সঙ্গে প্রচলিত একটি ছড়াকেই মন্ত্র হিসেবে বলা হয়৷ সেই ছড়াটি হল ‘‘জ্যৈষ্ঠ মাসে অরণ্য ষষ্ঠী, ষাট ষাট ষাট/ শ্রাবণ মাসে লোটন ষষ্ঠী, ষাট ষাট ষাট/ ভাদ্র মাসে মন্থন ষষ্ঠী, ষাট ষাট ষাট/ আশ্বিন মাসে দুর্গা ষষ্ঠী, ষাট ষাট ষাট/ অঘ্রাণ মাসে মূলা ষষ্ঠী ষাট ষাট ষাট/ পৌষ মাসে পাটাই ষষ্ঠী ষাট ষাট ষাট/ মাঘ মাসে শীতল ষষ্ঠী ষাট ষাট ষাট/ চৈত্র মাসে অশোক ষষ্ঠী ষাট ষাট ষাট/ বারো মাসে তেরো ষষ্ঠী ষাট ষাট ষাট।’’
এই ষাট হল বালাই ষাট। যাকে বলা হয় সব রকম বিপদ থেকে সন্তান সন্ততিকে দূরে রাখা। বিভিন্ন পরিবার ভেদে উপাচার, উপকরণ ও রীতিতে পার্থক্য থাকলেও মায়ের অন্তরের প্রার্থনা একই থাকে।