কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়ির তো আর জামাইষষ্ঠীর তত্ত্বের কথা ভুললে চলবে না। সে নিয়ে অবশ্য তেমন চিন্তা করার মতো কিছু নেই। মরসুমি ফল, জামাইয়ের প্রিয় মিষ্টি- এসব তো আছেই। তবে কি না, তত্ত্বের একটা বড় জায়গা জুড়ে থাকে পোশাক-আশাক। সমস্যাটা দেখা দেয় সেখানেই। মেয়ে বড় হয়েছে নিজের কাছে, তার পছন্দ তো জানাই! কিন্তু জামাই? জামাইয়ের কেমন পোশাক পছন্দ তা নিয়ে চিন্তা করতে করতেই শ্বশুর-শাশুড়ির গলদঘর্ম অবস্থা। জামাই এদিকে খুঁতখুঁতে হলে বেশি দামের জিনিসও কিন্তু মনে ধরবে না!
advertisement
আরও পড়ুন: জামাইষষ্ঠীতে হোক নতুন পদ, শাশুড়িরা কম সময়ে বানিয়ে ফেলুন চিংড়ির আম কাসুন্দি
তা কেনাকাটা কি এখনও হয়নি? যদি না হয়ে থাকে তাহলে জামাইষষ্ঠীর কেনাকাটার জন্য সর্বশেষ ফ্যাশন ট্রেন্ডগুলো জানতে এখানে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যেতে পারে। কিছু ঐতিহ্যবাহী ফ্যাশনের ট্রেন্ডও রইল যা এই আনন্দ উৎসবে উপহার হিসেবে দিয়ে স্মরণীয় করে রাখা যায় নিউ নর্মালের প্রথম জামাইষষ্ঠী।
ঐতিহ্যবাহী হলুদ: উৎসবের মরসুমে নিজেকে রাঙিয়ে তোলার সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং ঐতিহ্যবাহী রঙ হলুদ। সুতির পাঞ্জাবির জমি জুড়ে হলুদ রঙের বুটিক। গলার কাছে লালের কাজ। সঙ্গে ডেনিম বা কনট্রাস্টিং পাজামার সঙ্গে জমবে ভালো। গোটা ব্যাপারটাই সহজ এবং স্টাইলিশ। খুশি হবে জামাইও।
হলুদে ঝলমলে: মেয়ের জন্য থাক হলুদ চান্দেরি সিল্কের শাড়ি। সাধারণ আলোর বর্ডার-সহ ঐতিহ্যবাহী হালকা ডিজাইনের আঁচল। সঙ্গে একটা জমকালো ব্লাউজ মার্জিত লুক এনে দেবে।
নীলের মতো গভীর: ভরা জ্যেষ্ঠেই জামাইষষ্ঠী। তাই জমকালো পোশাক পরাটা বেশ কষ্টকর। নীল প্রিন্টেড জহর কোর্টের সঙ্গে সাদা ফর্মাল সুতির কুর্তা একই সঙ্গে ঐতিহ্যবাহী এবং চটকদার। এই জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের জন্য এটা হতে পারে বিশেষ উপহার।