নদিয়ার সমুদ্রগড়ের ছেলে প্রহ্লাদ দাস, বাবার কাঠের কর্মশালা ছেড়ে মুগ্ধ হয়েছিলেন সুতোর অদ্ভুত জাদুতে। শৈশবেই রাস্তার ধারের তাঁতঘরে ঢুকে ঘোর লাগত তাঁর ,সেই টানেই মাধ্যমিকের পর তাঁতশিল্প শেখার পথে এগিয়ে গিয়েছিলেন। ২০১৭ সালে বিবাহসূত্রে জলপাইগুড়িতে স্থায়ী হওয়ার পর শ্বশুরের দোকানে কাজ করেছিলেন কিছুদিন। কিন্তু শ্বশুরের মৃত্যুর পর মনে হয়, নিজের হাতে কিছু গড়লে কেমন হয়? তখনই চোখে পড়ে অসমের ঐতিহ্যবাহী মেখলা। কয়েক মাসের জন্য অসমে গিয়ে প্রশিক্ষণ নেন।
advertisement
বর্তমানে মাসে চার থেকে পাঁচটি মেখলা তৈরি করেন প্রহ্লাদ। বিশেষ মুগা সুতোর এই মেখলার নকশা, ডাইস থেকে সুঁতো সবই আসে অসম থেকে। প্রতিটি মেখলার দাম ২,৫০০ থেকে ৫,০০০ টাকার মধ্যে, ডিজাইনের তারতম্যে দাম পরিবর্তন হয়। তৈরি হওয়া মেখলা সরাসরি পাঠানো হয় অসমের লক্ষ্মীপুরে। প্রহ্লাদের চোখে এই শিল্প জলপাইগুড়ির ভবিষ্যৎ, তাঁর ভাষায়, ”আয়ও ভাল, পরিশ্রমের মূল্য পাওয়া যায়। চাইলে জলপাইগুড়িতে বেকার যুবকদের নিয়েই বড় আকারে এই শিল্প গড়ে তোলা সম্ভব।” অবসর সময়ে পাড়ার তরুণদের তিনি এই শিল্প শেখান, বোঝান ‘নিজের হাতে কিছু তৈরি করার আনন্দই আলাদা।’