আবার উচ্চশিক্ষার খাতিরে কদিন পরেই সন্তানকে বাইরে পাঠাতে হবে, ভেবে বুক কাঁপছে কিছু বাবা মায়ের৷ ‘আমার সন্তানকে র্যাগিংয়ের নামে মানসিক অত্যাচারের শিকার হতে হবে না তো?’ বাবা মা হিসেবে ঠিক করণীয় এক্ষেত্রে? বাবা মায়েদের মনের কোনে জমে থাকা এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিলেন যাদবপুরের প্রাক্তনী তথা মনোবিদ শ্রাবস্তী মজুমদার৷
advertisement
শ্রাবস্তী মজুমদার জানালেন,‘‘বাবা মার ভূমিকা শুরু হয় ছোটবেলা থেকেই। ছোট থেকেই সন্তানের মনের জোর বাড়ানো দরকার৷ সেইসঙ্গে ‘ভায়োলেন্স’ অর্থাৎ হিংসা মোটেই স্বাভাবিক নয়৷ ছোট থেকেই বোঝাতে হবে সন্তানদের৷ বাড়ি থেকেই শুরু করতে হবে এই শিক্ষা৷’’ মা বাবাদের সচেতন হতে হবে সন্তানদের সঙ্গে নিজেদের ব্যবহার নিয়েও৷ পরিবারেও যেন হিংসাত্বক পরিবেশ না থাকে, খেয়াল রাখতে হবে বাড়ির বড়দের৷
‘‘সন্তানের আত্মবিশ্বাস বাড়ানো খুব দরকার। সন্তানের মনে যেন এই বিশ্বাস থাকে, যে বাবা মা পাশে আছেন। বাচ্চার কথা শোনাও খুব জরুরি।’’ জানালেন মনোবিদ শ্রাবস্তী৷
সন্তানকে যখন বাইরে থাকছে, বাবা মায়ের চোখের আড়ালে তাঁদের কয়েকটি জিনিস শিখিয়ে দেওয়া উচিত৷
‘বাচ্চাদের স্পিড ডায়ালে সবসময় কারও নম্বর থাকা উচিত৷ কোনও রকম বিপদের ইঙ্গিত বুঝলেই যাতে তাঁরা তৎক্ষণাৎ বাবা-মাকে জানাতে পারে৷
ভায়োলেন্স স্বাভাবিক নয়, নিজেদের আচরণে বাচ্চাদের শেখানো দরকার।
যেখানে যাচ্ছে সেখানে একটা ‘সাপোর্ট সিস্টেম’ গড়ে তোলা দরকার৷
আরও পড়ুন: পিজ্জা-বার্গার খেয়েও ওজন কমিয়েছেন ৫৭ কিলো! এই ব্যক্তির গোপন পদ্ধতি জানলে চোখ কপালে উঠবে
র্যাগিং সম্পর্কে বলতে যাদবপুরের প্রাক্তনী শ্রাবস্তী বলেন, ‘‘র্যাগিংতে অপরাধ৷ এটা হওয়ার কথাই নয়। কলেজে ঢোকার সময় মুচলেকা দিতে হচ্ছে যে আমি কারও র্যাগিং করব না। করলে আমার বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বাবা মা যখন পড়াতে পাঠাচ্ছেন তখন তাঁরা তো এটা জেনেই পাঠাচ্ছেন। ফলে বাবা মায়ের শুরুতে এটা নিয়ে ভাবার কথাই নয়। তাঁদের নিশ্চিন্ত থাকাই স্বাভাবিক।’’
যাদবপুরের ঘটনা মর্মান্তিক৷ কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্দরে চলতে থাকা মানসিক অত্যাচারের নানা ছবি উঠে আসছে৷ এই পরিস্থিতিতে সন্তানদের ভবিষ্যত নিয়ে বাবা মায়েদের আরও সচেতন হওয়া জরুরি৷