প্রকৃতি এবং সমুদ্রের সঙ্গে অদ্ভুত আত্মিক যোগাযোগ অনুভব করেন তিনি৷ তার পরই মনের মধ্যে জেগে ওঠে অভিযানের নেশা এবং পেশাদার মারমেড বা মৎস্যকন্যা হয়ে ওঠার আকর্ষণ৷ তাঁর প্রথম অভিজ্ঞতাই ছিল অত্যন্ত রোমাঞ্চকর, জানিয়েছেন মস৷ মারমেড টেইল লাগিয়ে সাঁতার কাটার মুহূর্তে তিনি যেন নিজেকে হারিয়ে ফেলেছিলেন৷ দু’ বছর পর নিজের নেশাকেই পেশা বানিয়ে ফেললেন তিনি৷ কাছের শহর ল্যাম্পেদেউসা থেকে অফার আসে সৈকতে মারমেড বা মৎস্যকন্যা সাজার৷
advertisement
এর পর নতুন পথে পা রাখতে গিয়ে শিখেছেন একের পর এক নতুন শৈলী৷ কষ্টও কিছু কম করেননি৷ শিখেছেন কী করে জলের নীচে দীর্ঘ ক্ষণ শ্বাস ধরে রাখতে হয় নিখুঁত করে তোলেন ডাইভিং দক্ষতা৷ আয়ত্ত করেন আরও রোমাঞ্চকর কসরতের খুঁটিনাটি৷ স্বীকার করেছেন তাঁর নতুন কাজে বেতন কমে গিয়েছে অনেকটাই৷ কিন্তু এর থেকে বেশি সুখী তিনি আগে হননি, জানিয়েছেন সে কথাও৷
গরমকালে তিনি মারমেড সাজেন৷ দিনে ১২ ঘণ্টা মৎস্যকন্যার সাজে নৌকোসফর করেন পর্যটকদের সঙ্গে৷ শিখিয়ে দেন কী করে সামুদ্রিক প্রাণীদের দক্ষতায় সাঁতার কাটতে হয় সমুদ্রে৷ সচেতন করে তোলেন সামুদ্রিক জীবজগত নিয়েও৷ বোঝান সমুদ্র এবং লাগোয়া সৈকত পরিষ্কার রাখা কত জরুরি৷
যখন প্রথম বার স্কটল্যান্ডে মারমেড হিসেবে আত্মপ্রকাশ করেন, তখন ছিল ঠান্ডার মরশুম৷ জল প্রায় হিমায়িত৷ উত্তেজনায় ভুলেই গিয়েছিলেন সে কথা৷ মৎস্যকন্যা হিসেবে নিজের দক্ষতা আরও নিপুণ করে তোলার জন্য ক্রমাগত অনুশীলন ও পরিমার্জন করে গিয়েছেন তিনি৷ শ্বাস ধরে রাখা, গভীর সমুদ্রে ঝাঁপ দেওয়া, জলের ঘূ্র্ণিতে নিজেকে মিশিয়ে দেওয়া, সাগরে ঢেউয়ের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চিতসাঁতার কাটা-একে একে শিখে নিয়েছেন সব কিছু৷ অতীতের শিক্ষিকা মৎস্যকন্যা হয়ে দিব্যি আছেন নতুন জীবনে৷