এ সময়ে সারা দেশে ইসকনের বহু মন্দিরেই কীর্তন-সহ নানারকম অনুষ্ঠান হয়। মায়াপুরে ইসকন মন্দির থেকে বের হয় বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা । এদিন ময়ূরপঙ্খী নৌকোয় নৌকোবিহারে বার হন ভগবান। অক্ষয় তৃতীয়ার দিন থেকে শুরু হওয়া এই চন্দনযাত্রা উৎসব চলে ২১ দিন ব্যাপী। হুগলির মাহেশে আবার এই উৎসব চলে ৪২ দিন। এই উৎসব দেখতে মায়াপুরে প্রতিদিন বিকেলে হাজার হাজার ভক্ত সমাগম হয়। দেশ ও বিদেশের ভক্দের সমাগমে উৎসবমুখর হয়ে ওঠে মায়াপুর। এই চন্দন যাত্রা উৎসব পালিত হয়ে আসছে শ্রী শ্রী প্রভুপাদের সমাধি মন্দির সংলগ্ন পুষ্করিণীতে। প্রতিদিন ইসকনের অগণিত ভক্ত তাঁদের বাড়ি থেকে দেশি-বিদেশি বিভিন্ন ভোগ অর্পণ করেন রাধামাধবকে।
advertisement
প্রবল গরমে যখন সবাই বিপর্যস্ত, তখন এই চন্দনযাত্রা স্বস্তি ও শান্তি এনে দেয় ঈশ্বর তথা ভগবানকে। আর বাইরের আবহাওয়াকে উপেক্ষা করে এদিন সমাগত হন বহু মানুষ। অক্ষয় তৃতীয়ায় হুগলির মাহেশে সূচনা হয়েছে উত্সবের। বিশেষ এই দিনে শুরু হল চন্দনযাত্রা। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের তৃতীয়ায় হয় চন্দনযাত্রা উত্সব। এদিন থেকে বিগ্রহে চন্দন লেপে সূচনা হয় চন্দনযাত্রার। ৪২ দিন ধরে চলে এই রীতি। জগন্নাথ দেবের মাথাব্যথা সারাতেই এই রীতি পালন। স্নানযাত্রার তিথিতে সেই চন্দন ধুয়ে ফেলা হয় দুধ, গঙ্গাজল দিয়ে । স্নানের পর জগন্নাথদেবের জ্বর আসে। তখন বন্ধ থাকে মন্দিরের গর্ভগৃহ। ভক্তরা দেখা পান না জগন্নাথের। তারপর সুস্থ হয়ে রথযাত্রায় বার হন।