গর্ভপাত কী?
গর্ভাবস্থা বিনষ্ট করার পদ্ধতিকেই বলা হয়ে থাকে গর্ভপাত বা অ্যাবরশন (Abortion)। এক্ষেত্রে প্রসূতির জঠরদেশ থেকে ওষুধ প্রয়োগ করে বা শল্য চিকিৎসার মাধ্যমে ভ্রূণ এবং প্লাসেন্টা নির্গত করে নেওয়া হয়।
ভারতের আইন দ্বারা কি গর্ভপাত বৈধ এবং স্বীকৃত?
হ্যাঁ, দেশের আইন চিকিৎসাগত প্রয়োজনে চিকিৎসকের প্রেসক্রিপশনের ভিত্তিতে গর্ভপাতের স্বীকৃতি দিয়ে থাকে। তবে এক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু নিয়মাবলী অনুসরণ করে চলতে হয়।
advertisement
কোন সময়ে গর্ভপাত চিকিৎসকের সহায়তায় আইনসম্মত ভাবে করানো যায়?
১. গর্ভাবস্থা ২০ সপ্তাহের কম হলে চিকিৎসকের পরামর্শে, তাঁর সহায়তায় গর্ভপাত করানো যায়। এক্ষেত্রে একজন চিকিৎসকের উপস্থিতি যথেষ্ট।
২. যদি গর্ভাবস্থার ২০ সপ্তাহ পেরিয়ে যায়, কিন্তু তা ২৪ সপ্তাহের মধ্যে থাকে, সেক্ষেত্রেও চিকিৎসকের পরামর্শে এবং সহায়তায় গর্ভপাত করানো যায়- তবে এক্ষেত্রে অন্তত দু'জন চিকিৎসকের উপস্থিতি বাধ্যতামূলক।
আইন অনুসারে গর্ভপাত কোথায় করানো বৈধ?
সরকারের দ্বারা দেশে যে সব হাসপাতাল তৈরি হয়েছে বা পৃষ্ঠপোষকতায় পরিচালিত হচ্ছে, সেখানে সরকারের অনুমতি সাপেক্ষে গর্ভপাত করানো যায়। এছাড়া যে সব স্বাস্থ্যকেন্দ্রে সরকার গর্ভপাত করানোর পরামর্শ দিয়েছে, সেখানেও আইন অনুসারে প্রক্রিয়াটি বৈধ বলে বিবেচিত হয়।
১৮ বছরের নিচে কি গর্ভপাত করানো যায়?
১৮ বছরের নিচে গর্ভপাতও আইনের অনুমোদন অনুসারে বৈধ, তবে এক্ষেত্রে প্রসূতির অভিভাবকের অনুমতি প্রয়োজন হয়।
অবিবাহিতাদের কি দেশে গর্ভপাতের অনুমতি দেওয়া হয়?
ভারত সরকার গর্ভপাতের অনুমতি একমাত্র স্বাস্থ্যগত কারণেই দিয়ে থাকে। যদি দেখা যায় যে সন্তান প্রসব করা প্রসূতির মৃত্যুর কারণ হতে পারে অথবা তাঁর শারীরিক-মানসিক ক্ষতির কারণ হতে পারে, একমাত্র সেক্ষেত্রেই গর্ভপাতের অনুমতি পাওয়া যায়।
গর্ভপাতের ক্ষেত্রে কার সম্মতি প্রয়োজন?
একমাত্র প্রসূতির সম্মতি প্রয়োজন- তাঁর অভিভাবক বা স্বামীর মতামত এক্ষেত্রে যুক্তিগ্রাহ্য নয়। তবে প্রসূতির বয়স ১৮ বছরের কম হলে অভিভাবকের অনুমতি প্রয়েোজন হয়।
২৪ সপ্তাহের পরে কি গর্ভপাত করানো যায় না?
যদি দেখা যায় যে প্রসব প্রসূতি এবং তাঁর সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্যও হানিকর হয়ে উঠতে পারে, একমাত্র তখনই চিকিৎসকের পরামর্শে এবং সহায়তায় গর্ভাবস্থার ২৪ সপ্তাহ পরেও এই পদক্ষেপ করা যেতে পারে।
Prachi Mishra