ইন্দোরের রেটিনা স্পেশালিটি হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডাঃ মহাবীর দাত্তানির মতে, আয়রনের ঘাটতির ফলে সরাসরি চোখে কোনও প্রভাব পড়ে না, তবে শরীরে আয়রনের অভাবে সব অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে প্রভাব ফেলে।এর কারণে দৃষ্টিশক্তি কমে যেতে পারে। তাই দৃষ্টিশক্তিতে সমস্যা হলে আয়রনের পরীক্ষা করে নেওয়া প্রয়োজন।
আরও পড়ুন: ডায়াবেটিসের যম এই দুর্লভ ফলের নাম জানেন? মিনিটে পালাবে পেটের সমস্যা, জেনে নিন
advertisement
আয়রনের ঘাটতির কারণে দেহে হিমোগ্লোবিনের মাত্রা কমতে শুরু করে। হিমোগ্লোবিন শরীরে অক্সিজেন সরবরাহ করে। এই কারণেই আয়রনের ঘাটতির কারণে শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ ব্যাহত হয় এবং আমরা ক্লান্ত বোধ করতে শুরু করি। এর প্রত্যক্ষ প্রভাব চোখেও দেখা যায়।
আয়রনের ঘাটতির কারণে সব রোগীর দৃষ্টিশক্তি কমে যায় এমন নয়, তবে কিছু নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে আয়রনের ঘাটতি রেটিনার পরিবর্তন ঘটাতে পারে।
ডাঃ দাতানির মতে, কিছু রোগীর মধ্যে এই ধরনের লক্ষণ দেখা যায়।আয়রনের ঘাটতি হলে ‘অ্যানিমিক রেটিনোপ্যাথি’ হতে পারে।
আয়রনের ঘাটতির লক্ষণগুলো সহজেই চেনা যায়। শরীরে আয়রনের ঘাটতির কারণে চোখের নিচের চোখের পাতার ভেতরের রং হলুদ হতে শুরু করে। গুরুতর অবস্থায় চোখের পাতার ভেতরের স্তর হালকা গোলাপি বা হলুদ হয়ে যায়।
এ ছাড়া আয়রনের ঘাটতির কারণেও চোখে শুষ্কতা দেখা দেয় এবং চোখ থেকে জল বের হওয়া বন্ধ হয়ে যায়। এই লক্ষণগুলি কখনই উপেক্ষা করা উচিত নয়। শরীরে আয়রনের ঘাটতির কারণে ক্লান্তি ও দুর্বলতা, মাথা ঘোরা, মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্টসহ ঝাপসা দৃষ্টি দেখা দিতে পারে।
এই পরিস্থিতিতে অবিলম্বে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞের সঙ্গে যোগাযোগ করা উচিত, নইলে মারাত্মক সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নিয়ম মাফিক জীবনযাপন ও সঠিক খাদ্যাভ্যাসের ফলে চোখকেও সুস্থ রাখা যায়। চোখের সঠিক পুষ্টির জন্য অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে। এছাড়াও শরীরে আয়রন সরবরাহ করতে কিশমিশ, বীটরুট, ডালিম, আমলা, পালংশাক ইত্যাদি খেতে হবে। অন্যান্য পুষ্টির জন্য ব্লুবেরি, স্ট্রবেরি, গাজর, মাছ, আখরোট, চিয়া বীজ, পাকা ফল, কমলা, টমেটো ইত্যাদি খেতে হবে।