চা এক ধ্রুপদী পানীয় হলেও এর বিশ্ব জুড়ে উদযাপন কিন্তু খুব একটা বেশি দিন হল শুরু হয়নি। বিশ্বের চা উৎপাদনকারী দেশগুলো প্রথম দিকে ১৫ ডিসেম্বর বিশ্ব চা দিবস পালন করা শুরু করে। সেটা ছিল ২০০৫ সালের কথা। ২০১৫ সালে ভারত সরকার এই মর্মে এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করে। ইউনাইটেড নেশনস-এর (United Nations) ফুড অ্যান্ড এগ্রিকালচার অর্গানাইজেশনের (Food and Agriculture Organization) কাছে সারা বিশ্বের নিরিখে চায়ের গুরুত্ব উদযাপনের জন্য একটি তারিখ স্থির করার আবেদন জানানো হয়। ইউনাইটেড নেশনস এই প্রস্তাবে সাগ্রহে সম্মতি দেয় এবং সেই মতো ২০১৯ সালের ২১ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক চা দিবস (International Tea Day) হিসেবে ২১ মে তারিখটি ধার্য করা হয়। পরের বছর, অর্থাৎ ২০২০ সাল থেকেই ইউনাইটেড নেশনস-এর তত্ত্বাবধানে সারা বিশ্ব জুড়ে ২১ মে আন্তর্জাতিক চা দিবস পালিত হতে থাকে। সেই লক্ষ্যে এই বছরে এই উদযাপনের দ্বিতীয় যাত্রা পূর্ণ হল।
advertisement
ইউনাইটেড নেশনস দ্বারা স্বীকৃত এ হেন প্রতিটি দিবস উদযাপনের ক্ষেত্রে একেক বছরে একেক থিম ধার্য করা হয়। দ্বিতীয় বছরের জয়যাত্রায় এবার লক্ষ্য স্থির হয়েছে বিশ্বব্যাপী চায়ের বাণিজ্যিক দিকটিতে। কেন না, বিশ্বের যে সব দেশগুলো চা উৎপাদন করে থাকে, তাদের অধিকাংশেরই অর্থনৈতিক অবস্থা খুব একটা সুবিধার নয়। অন্য দিকে, চা-শ্রমিকদেরও রয়েছে নানা অভাব-অনটন। সব মিলিয়ে এই দিকটি যদি উন্নত করে তোলা যায়, তাহলে বেশ কয়েকটি লাভ হয়। প্রথমত, বিশ্ববাজারে সুষ্ঠু বাণিজ্যের মাধ্যমে চাহিদা বাড়লে চায়ের উৎপাদন বাড়বে, যা এই দেশগুলোর অর্থনীতিতে নতুন বলসঞ্চার করবে। আর সেই সূত্র ধরেই চা উৎপাদনকারী ভৌগোলিক ক্ষেত্র, তার শ্রমিক এবং অধিবাসীদের জীবনও সমৃদ্ধ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।