ইনফ্লুয়েন্সারদের মাসিক গড় আয় ৩,০০০ ডলার
হাইপঅডিটরের রিপোর্ট অনুযায়ী ৪৮.৫% ইউজার বলেছেন তাঁরা Instagram অ্যাকাউন্টের পোস্ট থেকে টাকা উপার্জন করেন। এক এক জন প্রতি মাসে প্রায় ২,৯৭০ ডলার উপার্জন করতে পারেন। তবে এর মধ্যে কিছু পার্থক্যও রয়েছে। যেমন মাইক্রো ও মেগা ইনফ্লুয়েন্সার। মাইক্রো মানে হল ১,০০০ থেকে ১০,০০০ এর মধ্যে যাঁদের ফলোয়ার সংখ্যা রয়েছে, তাঁরা প্রতি মাসে গড়ে ১,৪২০ ডলার উপার্জন করতে পারে। আর মেগা ইনফ্লুয়েন্সাররা, যাঁদের ১ মিলিয়ানের বেশি ফলোয়ার্সের সংখ্যা রয়েছে, তাঁরা প্রতি মাসে গড়ে ১৫,৩৫৬ ডলার উপার্জন করতে পারে। এঁদের মধ্যে যাঁরা মাইক্রো তাঁদের মধ্যে মাত্র ২২.৯৯% ইউজাররা উপার্জন করতে পারেন। অন্য দিকে মেগা ইনফ্লুয়েন্সারদের মধ্যে ৬৮.৭৫% ইউজারদের উপার্জন করার সুযোগ থাকে।
advertisement
ইনফ্লুয়েন্সারদের নানা ধরনের দক্ষতার উপরে উপার্জন হয়ে থাকে। একজন সাধারণ ইনফ্লুয়েন্সার ঘণ্টায় ৩১ ডলার কামিয়ে নিতে পারেন, সেই জায়গায় একজন রূপটান শিল্পী ঘণ্টায় ৬০ ডলার কামিয়ে নিতে পারেন। আবার একজন সুপারস্টারের প্রতি ঘন্টায় ১৮৭ ডলার আয় করার প্রমাণও মিলেছে। Instagram-এ পোস্ট হওয়া পছন্দের কিছু ক্যাটাাগরি হল প্রাণী সংক্রান্ত, ব্যবসা সংক্রান্ত, ফিটনেস এবং খেলাধুলা সংক্রান্ত পোস্ট।
Instagram লাইভ থেকে উপার্জন করেন ৫% কম ইউজার
Instagram লাইভ করেও উপার্জন করা যেতে পারে তবে সেটা সবার জন্য না-ও হতে পারে। সমীক্ষা বলছে এমন ইউজার ৫%-এর কম রয়েছেন। এদের মধ্যে ৪.২৭% প্রতি মাসে গড়ে ৫,৯১২.৮ ডলার উপার্জন করতে পারেন। অনেকে এটাও বলেছেন, যে করোনা পরিস্থিতিতে তাঁদের উপার্জন বেড়েছে। আবার কিছু ক্ষেত্রে প্রতারণামূলক ক্রিয়াকলাপও দেখা গিয়েছে।
হাইপঅডিটরের রিপোর্ট অনুযায়ী ইনফ্লুয়েন্সাররা অনেকেই আছেন যাঁরা ব্র্যান্ড প্রমোশনের কাজ করেন, সেই সংখ্যাও নেহাত কম নয়, সেটা প্রায় ৪০.১৫%। উপার্জন তো আর এমনি এমনি হয় না। তার জন্য অনেকটা পরিশ্রমও করতে হয়। সমীক্ষায় বলা হয়েছে ইনফ্লুয়েন্সাররা প্রতি সপ্তাহে গড়ে ২৪ ঘণ্টা Instagram অ্যাকাউন্টে সময় দেন। সেটা পোস্ট, স্টোরি অথবা ফলোয়ার্সদের সঙ্গে কথোপকথনের জন্য হতে পারে। সেই সময়টা এক সপ্তাহে বেড়ে ২৮.৭ ঘণ্টা হয়ে যায়। আর যাঁরা কম উপার্জন করে তাঁদের ক্ষেত্রে সময়টা থাকে ২০.৯ ঘণ্টা!