‘গ্লোবাল বার্ডেন অফ ডিজিজ’-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের প্রায় ৯৩ মিলিয়ন মানুষ শ্বাসযন্ত্রের কোনও না কোনও সমস্যায় ভুগছেন। তার মধ্যে ৩৭ মিলিয়নই হাঁপানির রোগী। গোটা বিশ্বের মধ্যে ১১.১ শতাংশ হাঁপানির রোগীই ভারতের। আবার এ দেশেই প্রতি দিন হাঁপানিতে সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হয়। যা গোটা বিশ্বের প্রায় ৪২ শতাংশ।
advertisement
কলকাতার জেএনএম হাসপাতালের বক্ষ চিকিৎসক ডা. ইন্দ্রনীল হালদারের (Indranil Halder) মতে, ‘‘অ্যাজমা ও ইনহেলার নিয়ে মানুষের ভুল ধারণাগুলি ভেঙে দেওয়া জরুরি। ইনহেলার আদতে হাঁপানির চিকিৎসার চিত্রটাই বদলে দিয়েছে। এটা সরাসরি টার্গেটে হিট করে। ফুসফুসে অক্সিজেন নেওয়ার পথগুলি খুলে দেয়। ফলে হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।’’
সঙ্গে ডা. ইন্দ্রনীল হালদার আরও যোগ করেন, ‘‘এটা সত্যি যে হাঁপানি রোগীর সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু সঠিক চিকিৎসায় এর নিয়ন্ত্রণ সম্ভব। আসল কথা হল ডায়াবিটিস, হাইপ্রেশার, মায়োপিয়া ইত্যাদি রোগের মতো হাঁপানিও সারে না ৷ ওষুধপত্রের সাহায্যে তাকে নিয়ন্ত্রণে রেখেই স্বাভাবিক জীবনযাপন করা যায়। এক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে ইনহেলার। হাঁপানি নিয়ন্ত্রণে নিরাপদ এবং কার্যকর উপায় হিসেবে ইনহেলার ব্যবহারের সুপারিশ করে গ্লোবাল ইনিসিয়েটিভ ফর অ্যাজমা-ও। এর কোনও সাইড এফেক্টও নেই।’’
আরও পড়ুন-রাশিফল ২৪ ডিসেম্বর; দেখে নিন কেমন যাবে আজকের দিন
এই সচেতনতা প্রচারকে দেশের প্রতিটি কোনে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানান সিপলার গ্লোবাল চিফ মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ জয়দীপ গোগাতি। তিনি বলেন, ‘‘হাঁপানির মতো দুরারোগ্য ব্যাধি নিয়ে সচেতনতা খুব জরুরি। তাই ইনহেলার নিয়ে যাবতীয় ভীতি ও আশঙ্কা কাটিয়ে তুলতেই এই প্রচার শুরু করা হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য, আরও বেশি মানুষকে এর সঙ্গে যুক্ত করা। হাঁপানি নিরাময়ে চিকিৎসকদের পরামর্শ যাতে রোগীরা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলেন, সেই ব্যাপারে উৎসাহিত করা। যাতে আরও সক্রিয়ভাবে হাঁপানির মোকাবিলা করা যায়। ‘ইনহেলার হ্যয় সহি’ হল সম্পূর্ণ ভয়-ভীতি কাটিয়ে ইনহেলার সম্পর্কে সম্যক ধারণা জনমানসে ছড়িয়ে দেওয়ার আন্দোলন।’’
হাঁপানি রোগীর জীবনযাত্রার মান উন্নত করতে সাহায্য করে ইনহেলার। অ্যাজমাকে নিয়ন্ত্রণে আনে। পরিপূর্ণ জীবন যাপনের সাহস যোগায়।