যদিও, ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে অবস্থিত বারমেরের গাগরিয়া গ্রামের নাম শুনলেই অনেকের মুখে হাসি দেখা যায়। গ্রামের নাম যদি কলসির সাযুজ্যে হয়, তা হাসির কারণ হতেই পারে অনেকের কাছে। কিন্তু, এই গ্রামের নামের পিছনে এক অভিনব কাহিনি লুকিয়ে আছে। পশ্চিম রাজস্থানের সীমান্তবর্তী বারমেরের এই গ্রামের নামকরণ হয়েছেই জলের কলসি থেকে। এখান থেকেই এই গ্রামের অনন্য নাম গাগরিয়া।
advertisement
১৯০০ সালে, যোধপুর থেকে পাকিস্তানের সাদিপল্লিতে একটি ট্রেন চলত –
যাওয়া যাক অতীতে! ১৯০০ সালে, যোধপুর এবং সাদিপল্লির (বর্তমানে পাকিস্তান) মধ্যে ট্রেন পরিষেবা শুরু হয়েছিল। বারমের ছেড়ে যাওয়ার পর, যখন ট্রেনটি রামসার থেকে এগিয়ে যেত, তখন এই জায়গায় জলের কলসি রাখা হত, যা দিয়ে ট্রেনের সঙ্গে চলমান জলের ট্যাঙ্ক থেকে জল ভর্তি করা হত। এই কলসির কারণেই এই গ্রামের নামকরণ হয়েছে গাগরিয়া।
নাম নিয়ে সজাগ গ্রামবাসীরা, চলছে পরিবর্তনের চেষ্টাও –
এখানকার গ্রামবাসীরা বলেন যে, লোকের কৌতুকের কারণে তাঁরা নাম পরিবর্তন করার জন্য অনেক চেষ্টা করেছিলেন। এই গ্রামের গফুর খান বলেন, বহু বছর পূর্বে জলের কলসি রাখা হত বলেই এর নামকরণ হয়েছে গাগরিয়া। তাও নামটি শোনা মাত্রই হাসি শুরু হয় অনেকের। বারমের থেকে ভারত-পাকিস্তান আন্তর্জাতিক সীমান্তে যাওয়া এই গ্রামের নাম শুনে অনেকেই হাসি থামাতে পারেন না।
গাগরিয়া সীমান্তবর্তী বারমের জেলার একটি গ্রাম, যা বারমের জেলা সদর দফতর থেকে ৭০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। এটি রামসার তহসিল সদর দফতর থেকে মাত্র ৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। বারমের জেলা সদর দফতর থেকে বাস এবং ট্রেনে করে এখানে পৌঁছনো যায়। ভারত-পাক আন্তর্জাতিক সীমান্তের কাছে অবস্থানের কারণে এটি সীমাবদ্ধ এলাকায় পড়ে। এর জনসংখ্যা প্রায় ১৫০০।