আর সেই সব ভেষজ দেহের নানা ধরনের সমস্যাও দূর করতে সহায়ক। আজ আমরা এমন একটি ভেষজের বিষয়ে কথা বলব, যার মধ্যে এমন অনেক উপাদান রয়েছে, যেগুলি একাধিক রোগ দূর করতে সাহায্য করে। আর এই উপকারী ভেষজটির নাম হল গিলয় বা গুলঞ্চ। লতানো এই উদ্ভিদ দেহের ইমিউনিটি বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
advertisement
সামগ্রিক স্বাস্থ্যকে ভাল তো রাখেই। আর জ্বর, সংক্রমণ এবং ডায়াবেটিসের মতো একাধিক সমস্যা দূর করতেও সক্ষম গিলয়। বহু শতক ধরেই মানুষ বিভিন্ন রোগের চিকিৎসার জন্য গিলয় ব্যবহার করে আসছে। তবে করোনা অতিমারীর কালে এই ভেষজ ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর মধ্যে যেহেতু ইমিউনিটি বৃদ্ধির ক্ষমতা রয়েছে, তাই ওই সময় সকলেই আরও বেশি করে গিলয় বা গুলঞ্চ সেবন করতে শুরু করেন। তবে আজও বহু মানুষ এই গিলয়ের উপকারিতার বিষয়ে তেমন কিছুই জানে না। আজ তাই এর সঠিক ব্যবহার নিয়ে কথা বলব। সেই সঙ্গে কাদের এটা খাওয়া উচিত নয়, সেই প্রসঙ্গেও কথা বলব।
অতিরিক্ত গিলয় সেবন করলে কি স্বাস্থ্যের ক্ষতি হয়?
উত্তরাখণ্ডের পিথোরাগড়ের আয়ুর্বেদ বিশেষজ্ঞ আচার্য বিজয় প্রকাশ জোশি বলেন যে, আমাদের শরীরের চুল থেকে পা পর্যন্ত যে কোনও সমস্যাতেই উপযোগী গিলয়। তবে কিছু ক্ষেত্রে এই উপকারী ভেষজ কিন্তু বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তাই সীমিত পরিমাণেই সেবন করা উচিত গিলয়।
কাদের খাওয়া উচিত নয়:
আচার্য বিজয় প্রকাশ জোশির বক্তব্য, যাঁদের লিভার এবং কিডনিতে সংক্রমণ রয়েছে, তাঁদের এই ভেষজ খাওয়া উচিত নয়। প্রতিদিন ১০ গ্রাম করে তিন মাস পর্যন্ত গিলয় খেলে তা উপযোগী বলে প্রমাণিত হতে পারে। তবে অতিরিক্ত পরিমাণে খেলে কিন্তু সেটা শরীরের উপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
গিলয় আসলে কী?
ভারতেই মূলত পাওয়া যায় গিলয় (টিনোস্পোরা কর্ডিফোলিয়া)। এটি একটি লতানো গাছ। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র অনুযায়ী, একাধিক রোগের চিকিৎসায় গিলয় ব্যবহার করা হয়। এমনকী এই ভেষজকে গুড়ুচি বা অমৃত বলেও অভিহিত করা হয়। গিলয় হল হিন্দু পৌরাণিক শব্দ। আর সংস্কৃতে গুড়ুচি শব্দের অর্থ হল, যা স্বাস্থ্যকে রক্ষা করে। আর অমৃত শব্দের অর্থ হল অমরত্ব।
গিলয়ের নেতিবাচক প্রভাব:
১. কোষ্ঠকাঠিন্যের ঝুঁকি বৃদ্ধি
২. রক্তচাপ কমে যাওয়ার সমস্যা
৩. অতিরিক্ত সেবনের ফলে ডায়েরিয়া
৪. ব্লাড সুগারের মাত্রা অতিরিক্ত পরিমাণে নেমে যেতে পারে
৫. লিভারের উপর ক্ষতিকর প্রভাব