বরই: বর্ষায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি সাধারণ অসুখ বিসুখ দূরে রাখতে চাইলে এই ফল ডায়েটে রাখতেই হবে। এতে ভিটামিন সি এবং কে, পটাসিয়াম, কপার এবং ফাইবার রয়েছে। কোষ্ঠকাঠিন্য নিরাময়েও এটা সাহায্য করে।
বিটরুট: বর্ষাকালীন সবজির মধ্যে বিটরুটই একমাত্র যা হিমোগ্লোবিনের মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে। এতে ম্যাঙ্গানিজ, ফাইবার, ভিটামিন সি, পটাসিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ রয়েছে। যাদের উচ্চ স্তরের পুষ্টির প্রয়োজন তাদের জন্য বিটরুট একটি আদর্শ খাদ্য। নিয়মিত বিটরুটের জুস বা স্যুপ খেলে উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
advertisement
আরও পড়ুন- ট্রেনের চেয়েও কমে বিমানভাড়া ! চলছে ইন্ডিগোর দুর্দান্ত ‘সুইট সিক্সটিন’ অফার
জাম: বর্ষাকালে পেটের রোগ সাধারণ সমস্যা। জাম এই রোগ নিরাময়ে সাহায্য করে। এটা রক্ত সঞ্চালন, লিভার ফাংশন এবং কিডনির কার্যকারিতা বাড়ায়। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি এবং ফাইবার থাকার পাশাপাশি, জামে রয়েছে আয়রন, যা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতে সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম রয়েছে। ফলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে।
লাউ: বর্ষাকালের সবচেয়ে স্বাস্থ্যকর সবজি হল লাউ। এতে থাকা ফাইবার শরীর সহজেই শোষণ করতে পারে। ফলে পরিপাকতন্ত্র সুস্থ থাকে। এতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, সেইসঙ্গে ভিটামিন বি এবং সি, যা শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসাবে পরিচিত। তা ছাড়া এটি একটি কম-ক্যালোরিযুক্ত সবজি, যাঁরা ওজন কমাতে চান তাঁদের জন্য আদর্শ।
লিচু: এই ফলের রস সর্দি, অ্যাসিড রিফ্লাক্স এবং হজমের সমস্যাগুলির মতো অসুস্থতার প্রতিকার হিসেবে কাজ করে। বর্ষায় যাঁদের হাঁপানির সমস্যা বাড়ে তাঁদের জন্যও লিচু খুব উপকারী। তাছাড়া রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিকারী হিসেবেও এটা পরিচিত।
শসা: শসা পটাসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, কপার এবং ভিটামিন এ, বি, সি এবং কে সমৃদ্ধ। এটা শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।
আদা: আদায় রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টিসেপটিক এবং অ্যান্টিইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য। এটা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। সর্দি-কাশি, গলা ব্যথা এবং শরীরের ব্যথা সহ একাধিক সমস্যায় আদার ব্যবহার বহু প্রাচীন। চা ছাড়াও স্যুপ বা তরকারিতে আদা দিয়ে খাওয়া যায়।