এই পাঠক তাঁর চিঠিতে জানিয়েছেন যে তিনি সমকামী। তাঁর প্রশ্ন- সঙ্গী যদি নিজের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের কথা সমাজে স্বীকার করে না নেন, তাহলে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রাখা কি ঠিক হবে? পরে ওই ব্যক্তি নিজে নিরাপদ জায়গায় থেকে সমাজের সামনে তাঁকে অপদস্থ করবেন না তো?
শুধু সমকামী সম্পর্ক নয়, যে কোনও যৌন সম্পর্কেই এই ঘটনা ঘটতে পারে। হতেই পারে যে সঙ্গী/সঙ্গিনী সবার সামনে সম্পর্কটা স্বীকার করতে স্বচ্ছন্দবোধ করছেন না। এক্ষেত্রে কয়েকটা কথা মাথায় রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞা।
advertisement
১. সবার প্রথমে প্রশ্ন করতে হবে নিজেকে- এই সম্পর্ক থেকে চাহিদা কী? যদি সেটা শুধুই যৌনতা হয়, তাহলে সঙ্গী/সঙ্গিনী সমাজের সামনে সম্পর্ক স্বীকার করলেন কী করলেন না, তাতে সত্যি কি কিছু যায়-আসে?
২. সম্পর্ক কেন স্বীকার করতে দ্বিধা আছে মনের মানুষের, সেটাও ভেবে দেখা দরকার। এমন নয় তো যে ব্যাপারটা স্রেফ জেদের জায়গায় চলে যাচ্ছে? অর্থাৎ একজন চাইছেন বলেই অন্যজনের সমাজের সামনে মুখ খোলার প্রসঙ্গ আসছে?
৩. এর পরে আসে অপদস্থ হওয়ার প্রসঙ্গ। যদি মনে হয় যে কেউ এই রকম করতে পারেন, তার মানে একটাই- ওই ব্যক্তিকে আমরা বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না। কিন্তু যৌনতা খুবই ব্যক্তিগত একটি বিষয়। কাজেই যাকে বিশ্বাস করে উঠতে পারছি না, তার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপন করা কি ঠিক হবে?
৪. সব শেষে একটাই পরামর্শ দিচ্ছেন পল্লবী- যদি সঙ্গী/সঙ্গিনীকে নিয়ে কোনও দ্বিধা থাকে, তাহলে সেটা নিয়ে তাঁর সঙ্গে আলোচনা করাটাই ঠিক হবে। তাতে যদি সমস্যা সমাধান না হয়, যদি কেউ খুশি হতে না পারেন, তাহলে পিছিয়ে আসাই একমাত্র উপায় বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞা!
Pallavi Barnwal