TRENDING:

Malda Tourism: ঐশ্বর্যে ভরা গৌড় নগরীকে ঘিরে থাকা এই বাইশগজি প্রাচীর আজ ইতিহাসের নীরব দলিল

Last Updated:

Malda Tourism: অনুমান করা হচ্ছে ১৪৪২-১৪৫৯ সালে সুলতান নাসিরুদ্দিন মেহমুদ শাহের শাসনকালে এই স্থাপত্যটি তৈরি করা হয়েছিল। ইটের তৈরি এই উঁচু প্রাচীর যা গৌড় প্রাসাদকে ঘিরে ছিল। প্রাচীরের তিনটি ভাগ রয়েছে যা সুলতানের প্রাসাদের তিন দিকের ব্যক্তিগত ব্যবহারের তিনটি অংশের নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা হয়। এই প্রাচীরের উচ্চতা ছিল ২২ গজ বা ৪২ ফিট।

impactshort
ইমপ্যাক্ট শর্টসলেটেস্ট খবরের জন্য
advertisement
জিএম মোমিন, মালদহ : এক সময় শত্রুদের আক্রমণ থেকে রক্ষাকবচ হিসেবে ব্যবহার হত মালদহের প্রাচীন এই বাইশগাজি ওয়াল। প্রাচীন গৌড় সাম্রাজ্যের একাধিক ইতিহাস আজও জ্বলজ্বল করছে মালদহ জেলার ইংরেজবাজারে অবস্থিত ধ্বংসাবশেষ শহর গৌড়ে। এক সময় সেই গৌড় সাম্রাজ্যের ছিল বিলাসবহুল রাজপ্রাসাদ। তবে তা এখন সব ইতিহাসের পাতায়। বর্তমানে সেখানে রয়েছে গৌড় সাম্রাজ্যের একাধিক স্থাপত্যের ধ্বংসাবশেষ অংশ। যার অধিকাংশ অংশ ভগ্নাদশা অবস্থায়। তবে আজও ভগ্নদশা অবস্থাতেই দাঁড়িয়ে যেন রাজপ্রাসাদকে পাহারা দিয়ে চলেছে এই বাইশগাজি ওয়াল। শত্রুদের আক্রমণ কে ন্যস্ত করতে গৌড় সাম্রাজ্যের সুরক্ষার জন্য অন্যতম ভিত ছিল এই বাইশগজি ওয়াল। রাজপ্রাসাদ না থাকলেও আজও এই দেওয়ালের শক্তি একই জায়গায় দাঁড়িয়ে। তবে নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নয়, ধ্বংসাবশেষ অংশ হিসেবে পরিচিতি পায় এই বাইশগজি ওয়াল।
advertisement

মালদহের এক ইতিহাস গবেষক এম আতাউল্লাহ জানান, “এই গৌড়ের রাজবাড়ি বা সুলতানি মহলের একটি অংশ যা মানুষের কাছে আজও আকর্ষণীয়। যাকে বাইশগজি প্রাচীর বা ওয়াল বলা হয়। সেই সময় এই প্রাচীরটি প্রাচীন গৌড় সাম্রাজ্যের গোটা রাজপ্রাসাদের নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা হয়েছিল। শত্রুদের আক্রমণ থেকে রক্ষার্থে বিশাল এই প্রাচীর তৈরি করা হয়েছিল গৌড় সাম্রাজ্যের শাসকদের দ্বারা।” পুরাতত্ত্ব বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, অনুমান করা হচ্ছে ১৪৪২-১৪৫৯ সালে সুলতান নাসিরুদ্দিন মেহমুদ শাহের শাসনকালে এই স্থাপত্যটি তৈরি করা হয়েছিল। ইটের তৈরি এই উঁচু প্রাচীর যা গৌড় প্রাসাদকে ঘিরে ছিল। প্রাচীরের তিনটি ভাগ রয়েছে যা সুলতানের প্রাসাদের তিন দিকের ব্যক্তিগত ব্যবহারের তিনটি অংশের নিরাপত্তার জন্য তৈরি করা হয়। এই প্রাচীরের উচ্চতা ছিল ২২ গজ বা ৪২ ফিট। যার জন্য এই প্রাচীরকে বাইশগাজি প্রাচীর বলা হয়। তবে এটি চওড়া হিসেবে বেস থেকে ১৫ ফিট এবং উপরে ৯ ফিট।

advertisement

আরও পড়ুন : ইতিহাসের মলিন প্রলেপ ‘নিমকহারাম দেউড়ি’-তে! মুর্শিদাবাদে গেলে লালবাগে মীর জাফরের প্রাসাদে যেতে ভুলবেন না

প্রাচীন গৌড় সাম্রাজ্যের অন্যতম অংশ হচ্ছে এই বাইশগাজি প্রাচীর। যা আজও শক্তিশালী হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে সেখানে। আজও এই প্রাচীরকে জেলা-সহ ভিন জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পর্যটকরা আসেন গৌড়ের ইতিহাস জানতে। তবে আজও অনেকে কথিত কাহিনীর উপর নির্ভর করে গৌড়ের ইতিহাসকে বর্ণনা করেন। যদিও এটি সঠিক পদ্ধতি নয় বলে জানান জেলার ইতিহাসবিদরা।

advertisement

বাংলা খবর/ খবর/লাইফস্টাইল/
Malda Tourism: ঐশ্বর্যে ভরা গৌড় নগরীকে ঘিরে থাকা এই বাইশগজি প্রাচীর আজ ইতিহাসের নীরব দলিল
Open in App
হোম
খবর
ফটো
লোকাল