এই পর্বে বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল এক পাঠিকার চিঠির সূত্র ধরে সেই সমস্যা নিয়েই আলোচনা করেছেন। ওই পাঠিকা জানিয়েছেন যে তিনি বুঝতে পারেন না কে তাঁকে শুধুই ব্যবহার করবেন শারীরিক ভাবে আর কার সঙ্গে সম্পর্ক যৌনতার বাইরেও টিঁকে যেতে পারে। পল্লবী কী বলছেন, তা একে একে দেখে নেওয়া যাক!
সবার প্রথমে পল্লবী আলোচনা করেছেন এই ব্যবহৃত হওয়ার দিকটা নিয়ে। তিনি সাফ জানাচ্ছেন যে আমাদের সম্মতি ব্যতিরেকে কেউ আমাদের ব্যবহার করতে পারে না। অতএব, অপর পক্ষের মানুষটিকে নিয়ে যদি কোনও খটকা থাকে, তাহলে মুখ খুলতে হবে। তাঁর আচরণের প্রতিবাদ করতে হবে। সহজ ভাবে বললে তাঁকে একতরফা সুযোগ নেওয়া থেকে ঠেকাতে হবে। এক্ষেত্রে পন্থা একটাই- যাঁকে সুবিধের বলে মনে হচ্ছে না, তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্কে যাওয়ার কোনও কারণ নেই। অন্যথায় তা আমাদের মানসিক স্বাস্থ্যে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
advertisement
পরের ধাপে পল্লবী আলোচনা করছেন কী ভাবে সম্পর্ক যৌনতার বাইরেও টিঁকবে কি না, সেই বিষয়টি নিয়ে। তাঁর দাবি, এক্ষেত্রে সরাসরি যৌনতায় না গিয়ে উল্টো দিকের ব্যক্তিটিকে একটু বাজিয়ে দেখলেই তো হয়! তাঁর সঙ্গে কফি বা ডিনার ডেটে যাওয়া যায়, নানা বিষয় নিয়ে কথা বলা যায়। যদি তাঁর সম্পর্কে কিছু জানার থাকে, সেটা জিজ্ঞেস করা যায়। যদি দেখা যায় যে ব্যক্তিটি এসব কথোপকথন এড়িয়ে যেতে চাইছেন, তার থেকেই সম্পর্কের ভবিষ্যতের ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়ে যাবে- অর্থাৎ তিনি যৌনতার বাইরে যে আর কিছু চাইছেন না, সেটা প্রতিষ্ঠিত হয়ে যাবে। সেই মতো পদক্ষেপ করলেই আর সমস্যা থাকবে না বলে জানিয়েছেন পল্লবী। তবে সবার আগে নিজেকে শক্ত হতে হবে, এটা উল্লেখ করতে ভুলছেন না তিনি!
Pallavi Barnwal