সংবাদমাধ্যমের খবর বলছে, ৭৫ দিনের ফিটনেস চ্যালেঞ্জ নিয়েছিলেন ওই টিকটকার। তার জন্য টানা ১২ দিনের মধ্যে প্রতিদিন ৪ লিটার করে জল পান করেছেন। এর পরেই স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটে। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় হাসপাতালে। বেশি জল খাওয়ার ফলেই এই বিপত্তি বলে জানান বিশেষজ্ঞরা। তাহলে প্রতিদিন ঠিক কতটা জল পান করা উচিত? কী বলছেন বিশেষজ্ঞরা, সেটাই জেনে নেওয়া যাক!
advertisement
নয়াদিল্লির স্যর গঙ্গারাম হাসপাতালের ইউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালট্যান্ট ডা. অমরেন্দ্র পাঠকের মতে, তেষ্টা পেলেই জল পান করা উচিত। কিন্তু জোর করে তা কখনও করা উচিত নয়। সাধারণ ভাবে প্রাপ্তবয়স্কদের দিনে ১.৫ – ২.৫ লিটার জল পান করা উচিত। তবে তীব্র গরম পড়লে ৩ লিটার পর্যন্ত জল পান করা যেতে পারে। আসলে অতিরিক্ত জল খেলে রক্তে সোডিয়ামের ঘাটতি হয়। যাকে হাইপোনেট্রেমিয়া বলা হয়।
হাইপোনেট্রেমিয়া কী?
ডা. পাঠকের মতে, হাইপোনেট্রেমিয়া এমন একটি অবস্থা, যেখানে মানুষের রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে যায়। এর জেরে দেখা দেয় সমস্যা এমনকী মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। শুধু অতিরিক্ত জল পানই নয়, রক্তে সোডিয়ামের পরিমাণ কমে যাওয়ার আরও অনেক কারণ থাকতে পারে। অল্প লবণ খেলে রক্তে সোডিয়ামের মাত্রা কমে যেতে পারে। আবার অতিরিক্ত চিনি খাওয়ার ফলেও হাইপোনেট্রেমিয়া হতে পারে। কখনও কখনও কিডনির রোগ কিংবা ডায়াবেটিসে ভুগছেন, এমন রোগীরাও সোডিয়ামের ঘাটতির সম্মুখীন হতে পারেন।
হাইপোনেট্রেমিয়ার চিকিৎসা কী?
ওই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের মতে, হাইপোনেট্রেমিয়া হলে চরম দুর্বলতা, তীব্র মাথাব্যথা, বিভ্রান্তি এবং জ্ঞান হারানোর মতো উপসর্গ দেখা যায়। এই ধরনের সমস্যা দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হবে। কারণ এর চিকিৎসা হওয়া খুবই প্রয়োজন। অনেক সময় অবহেলার কারণে রোগীর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাই সমস্যা এড়াতে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হবে। আর বিশেষ করে ব্লাড প্রেসার, ডায়াবেটিস এবং হৃদরোগীদের এই বিষয়ে আরও বেশি সতর্ক হতে হবে।