শীত পড়তেই সকালে ঘুম ভাঙানো বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়ায়। বাইরে ঠান্ডা হাওয়া, কম্বলের উষ্ণতা, লম্বা রাত—সব মিলিয়ে অ্যালার্ম বাজলেও আবার ঘুমিয়ে পড়তে ইচ্ছে করে। কিন্তু কাজ, স্কুল, জিম বা ঘরের দায়িত্ব সময়মতো শেষ করতে হলে সকালে ওঠা অপরিহার্য। সুখবর হল, কয়েকটি সহজ অভ্যাস গড়ে তুললে ঠান্ডাতেও ঝামেলাহীনভাবে সকাল শুরু করা যায়। এতে শুধু দিনটি ফলপ্রসূ হয় না, স্বাস্থ্যের ওপরও ইতিবাচক প্রভাব পড়ে।
advertisement
ভারতের হামলার ৬ মাস পরেও পাকিস্তানের যা হাল! …স্যাটেলাইট চিত্রে ধরা পড়ল গোপন সত্যি!
শীতের সকালে ঘুম ভাঙতে সমস্যা? এই স্মার্ট কৌশলগুলি মেনে চললে সহজেই কাজে নেমে পড়া যাবে (Representative Image:AI)
শীতে শরীরের বিশ্রামের প্রয়োজন বাড়ে, তাই ঘুমানোর সময় ঠিক রাখা প্রথম শর্ত। প্রতিদিন একই সময়ে শুতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে। ঘুমানোর অন্তত এক ঘণ্টা আগে মোবাইল ফোন থেকে দূরে থাকুন। ঘরের আলো ম্লান রাখুন। শোবার আগে গরম দুধ বা ক্যামোমাইল চা দ্রুত ও গভীর ঘুম আনতে সাহায্য করে।
একটু ভাল ঘুমই সকালে সহজে জেগে ওঠার মূল চাবিকাঠি।
অ্যালার্মটি বিছানা থেকে দূরে রাখুন।
মোবাইল ফোনেই যদি অ্যালার্ম থাকে এবং তা বালিশের পাশে রাখা থাকে, তাহলে ‘স্নুজ’ টিপে আবার ঘুমানোর প্রবণতা বেড়ে যায়। অ্যালার্মটি বিছানা থেকে দূরে রাখলে বাজা মাত্রই তা বন্ধ করতে উঠতেই হবে, আর এতে শরীর দ্রুত সক্রিয় হয়ে ওঠে।
শীতের সকালে ঘুম ভাঙতে সমস্যা? এই স্মার্ট কৌশলগুলি মেনে চললে সহজেই কাজে নেমে পড়া যাবে (Representative Image:AI)
সকালে ঘুম থেকে উঠেই জল খান।
শীতকালে জলখাওয়া কমে যায়, ফলে শরীরে ক্লান্তি বাড়ে এবং ঘুমঘুম ভাব থাকে। সকালে উঠেই এক গ্লাস কুসুম গরম জল খেলে শরীর চাঙ্গা হয়, মেটাবলিজম সক্রিয় হয় এবং মস্তিষ্ক দ্রুত সতেজ হয়ে ওঠে। ইচ্ছে হলে জলে লেবু বা সামান্য মধুও মেশানো যেতে পারে।
রাতেই সকালবেলার প্রস্তুতি সেরে রাখুন।
সকালে ওঠার সবচেয়ে বড় বাধা হল অনেক কাজ বাকি থাকার চাপ। তাই আগের রাতেই কিছু প্রস্তুতি সেরে রাখুন। জামাকাপড় গুছিয়ে রাখুন। জুতো পরিষ্কার করুন। দুপুর বা সকালের খাবারের কিছু প্রাথমিক প্রস্তুতি সেরে ফেলুন। ব্যাগ গুছিয়ে রাখুন। সকালে কাজ যত কম থাকবে, ঘুম থেকে ওঠা তত সহজ হবে।
