আসলে গোল ব্রাশ ব্যবহারের কিছু পদ্ধতি আছে। না হলে চুলের জট ছাড়ানো তো দূরের কথা তা দিয়ে আঁচড়ানোও যাবে না। হাত ব্যথা হয়ে যাবে। তাই কৌশলে ব্যবহার করতে হবে। হেয়ার ড্রেসারদের পরামর্শ অনুযায়ী গোল ব্রাশ কীভাবে সহজে ব্যবহার করার সুলুকসন্ধান নিয়ে আলোচনা করা হল এখানে।
আরও পড়ুন: উজ্জ্বল এবং ঝলমলে ত্বকের গোপন রহস্য এখন তামা, ভরসা করছেন বিশেষজ্ঞরাও
advertisement
এয়ার ড্রাই হল চাবিকাঠি: আগে চুল ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ শুকিয়ে নিতে হবে। তারপর করতে হবে ব্লো ড্রাই। চুল শুকনোর আগে হেয়ার ড্রায়ার ব্যবহার করলে অনেক সময় লাগবে। হাত ব্যথা হয়ে যাবে। এক কথায় সময় এবং শক্তির অপচয়। তাই চুলে কোনও স্টাইল করার আগে শুকিয়ে নিয়ে তারপর ব্লো ড্রাই করা উচিত।
এবার গোল ব্রাশ: ব্রাশের আকার, ব্রিসলের ধরন এবং তাদের ঘনত্ব, সবকিছু দেখে নিতে হবে। ভেন্টেড মেটাল রাউন্ড ব্রাশগুলোই ভাল। বোয়ার ব্রিস্টল ব্রাশগুলি প্রায়শই শক্ত এবং ঘন হয়। চুল আঁচড়ানোর সময় মাথায় লাগে। চুল উঠে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে। ব্রাশের ব্যাসের সঙ্গে কার্লিং আয়রনের কার্ল আকারের সমানুপাতিক সম্পর্ক রয়েছে: ব্রাশ যত বড়, কার্ল তত বড়।
চুলের অংশ: গোল ব্রাশ দিয়ে আঁচড়ানোর আগে চুল চার ভাগে ভাগ করে নিতে হবে। এবং সময় নিয়ে চুল আঁচড়ানো বা জট ছাড়ানো উচিত। না হলে হিতে বিপরীত হতে পারে।
আরও পড়ুন: টোম্যাটোর রস দিয়ে বানান আইস কিউব, চোখের নিমেষে পান ব্রণমুক্ত ঝকঝকে ত্বক
ব্যবহারের পদ্ধতি: গোল ব্রাশ দিয়ে চুল আঁচড়ানোর সময়ে মাঝপথে থেমে গেলে চলবে না। চুলের শিকড় বা মাথা থেকে শুরু করে নির দিকে আঁচড়াতে হবে। ব্লো নাজল ড্রায়ার থাকবে মাটির সঙ্গে সমান্তরাল। কিংবা নিচের দিকে সামান্য ঝুঁকে রাখা যায়। এতে চুলের সর্বত্র সমান জোর দেওয়া যাবে।
হিট সেটিংসে বদল: হিট সেটিংস মাঝারি রাখাই উচিত। কোঁকড়া চুল হলে একেবারে কম। চুল মসৃণ করার জন্য ব্রাশের উপরেই নির্ভর করা উচিত।