আরও পড়ুন: চিকিৎসার জন্য ভারতের বিকল্প খুঁজে পেলেন বাংলাদেশিরা, দলে দলে যাচ্ছেন সেই দেশে
মুখে বরফের টুকরো ঘষলে সঙ্গে সঙ্গে যে কোনও সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। কারণ বরফের ঠান্ডা ভাব ত্বককে আরাম দেয় আর এর ক্রিমের মতো ফর্মুলা ত্বককে হাইড্রেট করে। আর এই দুই এফেক্টের কারণে সান বার্নের সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া যায়। এই বিষয়ে সবিস্তারে আলোচনা করছেন কলকাতার কেরাডার্ম ক্লিনিকের মালিক এবং ক্লিনিক্যাল কসমেটোলজিস্ট ডা. মেহনাজ জাহান।
advertisement
সানবার্নের জন্য:
যাঁদের দীর্ঘক্ষণ কড়া রোদে কাজ করতে হয়, তাঁদের স্কিন বা ত্বকে জ্বালা-পোড়া হতে পারে। সেক্ষেত্রে ঠান্ডা ঠান্ডা সেঁক দিলে সেই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যেতে পারে। এর জন্য বরফ ঠান্ডা জলে একটা নরম কাপড় ভিজিয়ে সেঁক দেওয়া যেতে পারেন। কিংবা কোল্ড প্যাকের উপর একটি নরম তোয়ালে মুড়েও স্বস্তি পাওয়া যেতে পারে। তবে সব ক্ষেত্রেই একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে যে, সরাসরি মুখে বরফ ঘষা চলবে না। এর জেরে আইস বার্ন হয়ে যেতে পারে।
চোখের ফোলা-ভাব কমাতে:
চোখ-মুখ ফুলে যাওয়ার সমস্যা খুবই সাধারণ বিষয়। এই অবস্থায় চোখের তলায় ঠান্ডা সেঁক দিলে চোখের ফোলা-ভাব নিমেষে দূর হয়। ঠান্ডা সেঁক দিলে রক্তনালী সঙ্কুচিত হয় আর ফ্লুইড বিল্ড-আপও কমে যায়।
ত্বকের চুলকানির জন্য:
স্কিন টাইটেনিংয়ের মাধ্যমে অস্থায়ী ভাবে পোর মিনিমাইজ করার ক্ষমতা রাখে কোল্ড থেরাপি। ত্বকের প্রদাহ এবং ত্বকের অন্যান্য জ্বালা-চুলকানি প্রতিরোধেও সহায়ক এটি। কুলিং সেনসেশন ত্বকের লালচে ভাব এবং অস্বস্তি দূর করে।
কিছু বিষয় মাথায় রাখা আবশ্যক:
১. সরাসরি মুখে বরফ ঘষা চলবে না। এতে ত্বকের লাভের তুলনায় বরং ক্ষতি হয়। তাই আইস বার্ন প্রতিরোধ করার জন্য বরফে নরম কাপড় বা তোয়ালে জড়িয়ে বরফ প্রয়োগ করা উচিত।
২. হাইজিন বজায় রাখাটাও জরুরি। ঠান্ডা সেঁক দেওয়ার জন্য সব সময় পরিষ্কার কাপড় বা তোয়ালে ব্যবহার করতে হয়। যাতে ব্যাকটেরিয়ার সংস্পর্শে ত্বক না আসে।
৩. মনে রাখতে হবে যে, কোল্ড থেরাপি ত্বককে অস্থায়ী ভাবে আরাম দিতে পারে। কিন্তু এর মূল কারণ জানার জন্য ত্বক বিশেষজ্ঞের দ্বারস্থ হওয়া আবশ্যক।