তাই এক পাঠক যখন চিঠি দিয়ে জানালেন যে ঘনিষ্ঠ বন্ধুকে তাঁর বাড়ির সবাই বেশ পছন্দ করেন এবং তিনি এই ছেলেটির সঙ্গে নিজের সম্পর্কের আসল দিকটা প্রকাশ করতে চান, তখন কয়েকটা কথা মাথায় রাখতে বলছেন বিশেষজ্ঞা পল্লবী বার্নওয়াল! কেন না, মুক্ত মনের মানুষ হলেও সন্তান সমকামী, এই কথাটা অনেক মা-বাবাই সহজ ভাবে গ্রহণ করতে পারেন না!
advertisement
১. যদি কেউ আর্থিক দিক থেকে স্বনির্ভর না হন, তাহলে কথাটা বাড়িতে প্রকাশ না করাই বিচক্ষণের কাজ হবে- প্রথম পরামর্শ পল্লবীর। কেন না, সেক্ষেত্রে পরিবার বিরোধিতা করলে তা কাটিয়ে নিজের পথ বেছে নেওয়ার উপায় থাকবে না। পরিবার যদি ত্যাগ করে, তাহলে নিজের ভরণ-পোষণ নিয়েও সমস্যায় পড়তে হবে।
২. নিজেকে মানসিক ভাবে শক্ত রাখতে হবে। মা-বাবা কান্নাকাটি করতে পারেন, তাতে মনখারাপ করলে চলবে না। পরিবারের সদস্যের হাতে শারীরিক ভাবে অপদস্থ হওয়া, তীব্র মার খাওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে। সেটা কী ভাবে প্রতিরোধ করা যায়, সে কথাটাও মাথায় রাখতে হবে।
৩. বাড়িয়ে নিজের সেক্সুয়াল ওরিয়েন্টেশনের কথা জানানোর আগে সেই পদক্ষেপের কথা সঙ্গী/সঙ্গিনীকেও বলে রাখতে হবে। তিনি সেটা না-ও চাইতে পারেন। এক্ষেত্রে তাঁকে নিয়েও টানাহেঁচড়া হবে, তাঁর বাড়ি থেকেও সমস্যা হবে। তাই তিনি যদি কিছু না জানিয়ে সম্পর্ক বজায় রাখতে চান, সেই দিকটাও ভেবে দেখতে হবে।
৪. মা-বাবাকে সরাসরি বলার আগে পরিবারের নতুন প্রজন্মের কোনও সদস্যের সঙ্গে মনের কথা ভাগ করে নেওয়া যায়- যদি তিনি প্রগতিশীল হন! সেক্ষেত্রে একটা সমর্থন পাওয়া যাবে।
৫. মা-বাবাকে একসঙ্গে না বলে প্রথমে কোনও একজন, যিনি কম রিয়্যাক্ট করবেন, তাঁকে বলাটাই ঠিক হবে জানাচ্ছেন পল্লবী। তার কিছু দিন পরে অন্যজনকে বলা যায়। তাতে সমস্যা কম হতে পারে বলে দাবি করছেন বিশেষজ্ঞা!
Pallavi Barnwal