‘সারাদিন বসে থাকলে শিরায় চাপ বেড়ে যায়’
ড. কপাডিয়ার ব্যাখ্যা, কেউ যদি সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ডেস্কে বসে থাকেন এবং সন্ধ্যায় গিয়ে ১০ হাজার পা হাঁটেন— তবুও সারাদিনের বসে থাকা শরীরের শিরা-উপশিরায় চাপ তৈরি করে। রক্ত চলাচল কমে যায়, ফুলে ওঠার ধারাও শুরু হয়, এমনকি রক্তজমাট বাঁধার সম্ভাবনাও বাড়ে।
তাঁর মতে, একজন মানুষ কতটা হাঁটলেন, তার চেয়ে বেশি জরুরি— কত ঘন ঘন শরীর নড়াচড়া করলেন। প্রতি ঘণ্টায় অল্প বিরতি নেওয়া, দু’-এক মিনিট হাঁটা এবং হালকা স্ট্রেচ শিরার স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি কার্যকর।
advertisement
নতুন শ্রম আইনে মহিলাদের কী কী লাভ হল অনেকেই জানেন না! নারীদের নতুন সুবিধাগুলো দেখে নিন
আধুনিক, সুরক্ষিত এলএইচবি কোচ পাচ্ছে উত্তর পূর্ব ভারতের ১০ জোড়া ট্রেন! কলকাতা থেকে কোনগুলো জানুন
১০ হাজার স্টেপের ধারণা কেন ভুল
ইনস্টাগ্রামে ড. কপাডিয়া লেখেন—
“আপনার ১০ হাজার স্টেপ, টানা ১০ ঘণ্টা বসে থাকার ক্ষতি পূরণ করতে পারে না। সন্ধ্যায় স্টেপ গোল পূরণ করলেও, যদি ৯টা থেকে ৭টা পর্যন্ত ডেস্কে বসে থাকেন, শিরার ক্ষতি আগেই হয়ে গেছে। কারণ রক্তসঞ্চালন নির্ভর করে কতটা হাঁটলেন তার ওপর নয়— নির্ভর করে কতবার নড়লেন তার ওপর।”
তিনি আরও বলেন—
“৪৫–৬০ মিনিট পর পর উঠে দাঁড়ান। স্ট্রেচ করুন। ২ মিনিট হাঁটুন। কাফ মাসল নাড়ান— ওটাই আপনার ‘পারিফেরাল হার্ট’। ছোট ছোট বিরতি, বড় পরিবর্তন। শিরার প্রয়োজন দৌড় নয়— প্রয়োজন নড়াচড়া।”
‘স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন, দেরি হওয়ার আগেই’ — প্রতিক্রিয়া সোশ্যাল মিডিয়ায়
এক ব্যবহারকারী মজা করে লেখেন— “কগনাইজেন্ট, উইপ্রো, ইনফোসিস— সব কোম্পানিই এখন আপনাকে ঘৃণা করবে!”
আরেকজন মন্তব্য করেন— “জিমে গিয়ে সপ্তাহে দু’দিন স্কোয়াট শুরু করুন।”
একজন জানান—
“স্ট্যান্ডিং ডেস্ক নেওয়া আমার জীবনের সেরা সিদ্ধান্ত। দাঁড়িয়ে থেকেও শরীর নড়াতে পারি।”
এক ব্যবহারকারী লেখেন—
“১০–১১ ঘণ্টা বসে থাকতাম। নিতম্ব ও পিঠে ভয়ানক ব্যথা হত। হাঁটতে-দাঁড়াতে কষ্ট হত। চাকরি ছেড়ে দিয়েছি। দেরি হওয়ার আগে স্বাস্থ্যকে অগ্রাধিকার দিন।”
আরেকজন বলেন—
“আমি স্ট্রেংথ ট্রেনিং-এর দিনে ১৫ হাজার এবং কার্ডিও দিনে ২০ হাজার স্টেপ টার্গেট করেছি। সারাদিন নড়াচড়া না করলে এটা সম্ভব নয়। ফিটনেস ব্যান্ডও খুব সাহায্য করে। প্রতি ৪৫–৬০ মিনিটে ৫০০ স্টেপ হাঁটার মতো ছোট ছোট রাউন্ড বানিয়ে নিলে খুব সুবিধা হয়।”
একজন মন্তব্য করেন—
“লম্বা সময় বসে থাকা রক্তসঞ্চালনে সমস্যা করে— এটা ঠিক। তবে ‘শিরা ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে যায়’— এমন দাবি অতিরঞ্জিত। সন্ধ্যার হাঁটাও কাজে লাগে, আর একদিন বসে থাকা স্থায়ী ক্ষতি করে না।”
১৮ বছর ধরে চর্চায় ড. কপাডিয়া
ড. সুমিত কপাডিয়া ১৮ বছর ধরে চিকিৎসা ক্ষেত্রে কাজ করছেন এবং এখন পর্যন্ত ১০ হাজারেরও বেশি রোগীকে চিকিৎসা দিয়েছেন।
